খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

Khalil Chowdhury Schoolডেস্ক রিপোর্টঃ ভাষা গবেষক, অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ বলেছেন- আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে মানুষের মতো মানুষ হবে। জ্ঞানের আলো জ্বালাবে। শিক্ষা লাভ করে তারা যেন হানাহানিতে লিপ্ত না হয়। কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীর এক হাতে থাকবে বই অন্য হাতে থাকবে হাতুড়ি। সেই হাতুড়ি দিয়ে তারা জরাজীর্ণ সমাজের কুসংস্কার ভেঙে নতুন সমাজ বিনির্মাণ করবে। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। তাকে শহীদ মিনার কী, অপরাজেয় বাঙলা কী জানতে হবে। উৎসের সন্ধান করতে হবে। শিকড়ের সন্ধান করতে হবে।
গতকাল শনিবার বিয়ানীবাজারের খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আলোচনা ও সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সফিকুল হক রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সংবর্ধিত অতিথি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কীবরিয়া তাপাদার, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন- প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষাবিদ আলী আহমদ, দাতা সদস্য সাইফুদ্দীন তাপাদার শফিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্মারকগ্রন্থ ‘নিলয় ধ্বনি’র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। আলোচনা সভা শেষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা খলিল আহমদ চৌধুরীকে সংবর্ধনা ও সাবেক শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করে।
এদিকে, সকাল ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথমে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও স্কুলের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়।