হবিগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবার থেকে ৩ শিশু নিখোঁজ : জনমনে প্রশ্ন

4. bhabigonjসুরমা টাইমস ডেস্কঃ  হবিগঞ্জ শিশু পরিবার থেকে দেলোয়ার হোসেন (৮), মোহাম্মদ আলী (১০) ও সুজন (১১) নামে তিন শিশুর হদিস মিলছে না। তারা পালিয়ে গেছে, পাচারের শিকার, না কি তাদের ভাগ্যে অন্য কিছু ঘটেছে। তা কেউ ঠিক করে বলতে পারছে না।

সরকারি শিশু পরিবারের মতো একটি সুরক্ষিত এলাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানে ৩ শিশু নিখোঁজের ঘটনায় অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরতলীর বড় বহুলা এলাকার হবিগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবার থেকে সুজন নামে এক শিশু এক মাস আগে নিখোঁজ হয়। মোহাম্মদ আলী নামে অপর এক শিশু ৩১ অক্টোবর নিখোঁজ হয়।

এ ঘটনার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ২ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেন নামে আরেক শিশু নিখোঁজ হয়। শিশু সুজন নিখোঁজের বিষয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) না করলেও দেলোয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ আলী নিখোঁজের ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় জিডি করেন শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম সাইফুল ইসলাম।

এদিকে, নিখোঁজ তিন শিশুর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। শিশু তিনটি নিখোঁজের পর থেকে শিশু পরিবারের অন্য শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম সাইফুল ইসলাম শিশু সুজনের নিখোঁজের বিষয়টি অস্বীকার করলেও দেলোয়ার ও মোহাম্মদ আলীর নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যে দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে তাদের শিশু পরিবারে রাখার কথা নয়। তিনি আদালতের আদেশকে সম্মান জানাতে গিয়ে তাদের রেখেছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শোয়েব হোসেন চৌধুরী জানান, শিশু পরিবারটি সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীন হলেও তিন শিশু নিখোঁজের বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। তিনি ৩ নভেম্বর আকস্মিক পরিদর্শনে যান শিশু পরিবারে। এ সময় তিনি শিশু নিখোঁজের ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে বিষয়টি শিশু পরিবারের সভাপতি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার একটি সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে ইসলাম মিয়া ও পারভীন আক্তার দম্পত্তির ছেলে দেলোয়ার হোসেন এবং আতাহার আলী ও দ্বিপালী দম্পত্তির ছেলে মোহাম্মদ আলীকে এক মাস আগে মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করা হয়।

পরে আদালত তাদের সিলেটের বাগবাড়ী নিরাপত্তা হেফাজতে (সেইভ হোম) পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাগবাড়ী সেইভ হোমে স্থান সংকুলান না হওয়ায় হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতের নির্দেশে তাদের হবিগঞ্জ শিশু পরিবারে পাঠানো হয়।