রাজনগরে পিআইও কর্মকর্তার নাম ফলকে বিদেশি ভাষা বহাল

rajnagor pioআব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজারঃ রাজনগর উপজেলা প্রকল্প (পিআইও) কর্মকর্তার নাম ফলকে বিদেশি ভাষা বা মিশ্র ভাষা না লেখার আদালতের নির্দেশ থকলেও তিনি সে নির্দেশ মানছেন না।জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি রীট পিটিশন ও ২৯ এপ্রিলের রায়ে সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান ৮জুন উনিঅ/রাজ/২০১৪/৫৬১(৫০) স্মারকে হাইকোর্টের রায় বাস্থবায়নের জন্য অধস্তন কর্মকর্তাদের পত্র দিয়ে জানিয়ে দেন। কিন্তু নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে পত্র পাওয়ার ১মাস পেরিয়ে গেলেও রাজনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও বাঁধন কান্তি সরকার হাইকোর্টের আদেশ বাস্থবায়ন করেননি। তার কার্যালয়ের দরজায় লাগানো নাম ফলকে এখনো ইংরেজি ভাষায় নাম লেখা রয়েছে। গত কয়েকদিন তার কার্যালয়ে গিয়ে সার্বক্ষনিক তালাবদ্ধই দেখা যায়। এমনকি পিআইও বাঁধন কান্তি সরকার কোন মোবাইল ফোন ও রিসিভ করছেন না। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আসলে কাজের সময় খেয়ালই থাকেনা কোথায় কী আছে। আমি বিষয়টি দেখছি। এদিকে পিআইও কর্মকর্তা বাঁধন কান্তি সরকারের বিরুদ্ধে উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারের বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ এর প্রকল্পগুলি থেকে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের ও অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগে জানা যায়, পিআইও কর্মকর্তা বাঁধন কান্তি সরকার যেসব প্রকল্প থেকে ঘুষ আদায় করেছেন,তার বেশীরভাগ প্রকল্পে বিন্দুমাত্র কাজ ও হয়নি। কিন্তু ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের সভাপতি চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরকে ব্যাংক থেকে প্রকল্পের আংশিক/সম্পুর্ণ টাকা তুলতে কাগজ পত্রে সহায়তা করেছেন।এ নিয়ে থাকছে পরবর্তীতে একটি প্রতিবেদন।