সিলেটে আধা বেলা হরতাল পালিত

Hortal Sylhet _12-05-2015সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক, মুক্তমনা ব্লগার, বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শনাক্ত করে সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চ ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ডাকা আধাবেলার হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। গতকাল ভোর ছয়টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে । কঠোর পুলিশী নিরাপত্তায় হরতালে নগরের কোথাও ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। রিকশা চলাচলও ছিলো অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক কম।
গতকাল বুধবার ভোর ছয়টা থেকে হরতাল আহবানকারীসহ সিলেটের সংস্কৃতিককর্মী ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা হরতালের সমর্থনে নগরের বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হয়ে ‘অনন্ত বিজয় মরলো কেন? সরকারের জবাব চাই, খুনিদের গ্রেপ্তার করও, নইলে তোদের প্রতি ঘৃণা আজ’… এরকম নানা স্লোগান দিচ্ছেন হরতাল সমর্থকরা। নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হরতালে ছোট ছোট মিছিল কোর্ট পয়েন্টে এসে যোগদান করে।
এদিকে সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চ ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ডাকা আধাবেলা হরতালে সমর্থন জানায় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট সংসদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রীক দল (বাসদ), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্টী সিলেট, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সিলেট, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ ছ্ত্রা ইউনিয়ন সিলেট সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছ্ত্রা ফ্রন্ট, নগরনাট, মৃত্তিকায় মহাকাল, থিয়েটার মুরারি চাদঁ ।
সকাল পৌনে আটটায় কোর্ট পয়েন্টে সমবেতরা সিলেট নগরে একটি মিছিল বের করেন। নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেটের প্রবেশদ্বার ক্বীন ব্রিজের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক দেবাশীষ দেবু’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সহিদুজ্জামান পাপলু (পাপলু বাঙালি), সম্মিলিত নাট্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তিগুপ্ত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একের পর এক গণজাগরণ মঞ্চ’র সংগঠনক ও ব্লগার হত্যা করা হলেও এখনো পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে খুনি-মৌলবাদী জঙ্গিরা উম্মাদ হয়ে গেছে। তারা একের পর এক মুক্তিযদ্ধের চেতনা ও মুক্তমনা বিজ্ঞানমস্ক মানুষকে হত্যা করছে। বক্তারা আরো বলেন, হত্যা আর হুমকি ধামকি দিয়ে মানুষের চিন্তা-চেতনাকে হত্যা করা যায় না। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি নিশ্চিত করা না হলে সিলেট থেকেই কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। আর এই আন্দোলনে সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।