‘মামলা করে নিরীহ মানুষ হয়রানি তার পেশা’

গোলাপগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা

mamlaসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জে উজান মেহেরপুর গ্রামে মঈন উদ্দিন আলীর বসত ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রী রোকসানা বেগমের পরণের কাপড় টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানি ও লুটপাট করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার কালিজুরি গ্রামের জয়নাল আবেদীনসহ চারজনকে আসামী করে গত ২৭ এপ্রিল উজান মেহেরপুর গ্রামে মঈন উদ্দিন আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদি এই মামলাটি দায়ের করেন। বাদি রোকসানা বেগমের বাবা আবদুল খালিক আসু মিয়ার বাড়িও গোলাপগঞ্জের বুধবাড়ি বাজারের কালিজুরি এবং আসামীরা বাদীর আত্মীয় হন।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, আসামিরা পরস্পর সন্ত্রাসী ও ধাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। আসামীদের সাথে বাদির ভাইদের পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। গত ২৪ এপ্রিল রাত ১১টায় বাদির উজান মেহেরপুর গ্রামে বসত ঘরে জোর পূর্বক ঢুকে বাসায় ভাঙচুর করেন এবং ঘরে থাকা সোনাসহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বাদী রোকসানা বেগম বাধা দিলে তাঁর পরনে থাকা কাপড় টানা হেছড়া করে তাকে শ্লীতাহানি ঘটায়।
এ ব্যাপারে মামলার আসামী জয়নাল আবেদীনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মামলার বাদি রোকসানা বেগম একজন পেশাদার মামলাবাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোকাসানার পেশাই কথায় কথায় মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রাণী করা। প্রায় ৪ বছর পূর্বে মামলার বাদি রোকসানা বেগম তার আপন চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে একই ধরণের হয়রানী মুলক মামলা করেছিল। জয়নাল বলেন, গ্রামের নিরীহ লোকদের হয়রাণীর জন্য তার ভাইদের সাথে বিরোধ থাকায় তিনি তাঁর উজান মেহেরপুর ঘটনাস্থল দেখিয়ে মামলা করেছে। মানুষকে হয়রাণী করা গেলে নিজে ভিকটিম সেজে মামলা করা তার কাছে সহজলব্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।