বিদ্রোহীদের বহিস্কার: ‘কঠোর’ আওয়ামী লীগ গোলাপগঞ্জে ‘নমনীয়’

Golapgonj-Pouroshovaডেস্ক রিপোর্টঃ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া নেতাদের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীদের। বুধবার সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ পৌরসভার দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিস্কার করা হয়। এমনকি বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে প্রচরণায় অংশ নেওয়া এক নেতাকেও বহিস্কার করা হয়।

তবে দুই পৌরসভার বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এমন কঠোর হলেও সিলেটের নির্বাচন হওয়া অপর পৌরসভা গোলাপগঞ্জের দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দলটি অনেকটাই নমনীয়। এই পৌরসভায় দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরো দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সাংগঠিনক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

দলের এমন ‘নমনীয়তা’ বিদ্রোহীদের উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু। পর্দার আড়ালে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রশ্রয় দিতে পারেন বলেও অভিযোগ তাঁর।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। এরমধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের। দল মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র পাপলুর বিরুদ্ধে এই পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল জব্বার ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাবেল।

এই তিনজন ছাড়াও এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া শাহীন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুহেদ আহমদ, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুর রহমান লিপন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রার্থী ৭ জন হলেও মূলত জাকারিয়া আহমদ পাপলু, সিরাজুল জব্বার ও গোলাম কিবরিয়া শাহিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন ভোটার।

এদিকে বুধবার দলের সিদ্ধান্ত না মানায় জকিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ, কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আল মিজান এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বুধবার রাতে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই বিষয়ে আমরা জেলা আওয়ামী লীগে সাথে বসেছি। দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জাকারিয়া আহমদ পাপলু বলেন, যে দু’জন প্রার্থী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এবার আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা গত নির্বাচনেও প্রার্থী হয়ে আমার সাথে পরাজিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তবে দলের সিদ্ধান্ত সকল পৌরসভার ক্ষেত্রেই সমান হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল জব্বারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।