রাবি শিক্ষক হত্যা : ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষসহ আটক ২০

A K M Shofiul Islamসুরমা টাইমস ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরো একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হুমায়ুন আহমেদ রাজশাহী ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ। মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর থেকে রোববার হুমায়ুনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ন আহমেদসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশসহ বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে। এগুলো হলো- পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও জঙ্গি হামলা। এসবের মধ্যে পারিবারিক ও জঙ্গি হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শনিবার ফেসবুকে আনছার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ দেওয়া হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ফেসবুকের ওই পোস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুলিশের উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি টিম কাজ করছে। খুব শিগগিরই ওই পোস্ট কারা ও কোথা থেকে করেছে সেই রহস্য বের করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক শফিউল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হবে।’
মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, রোববার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বিনোদপুর থেকে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের শক্ত অবস্থান রয়েছে ইসলামিয়া কলেজে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন। অধ্যাপক শফিউলকে হত্যায় কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা আছে কি না তদন্তে সে বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
দুপুরে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,“গোয়েন্দারা বিভিন্ন মোটিভ নিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছে। এটা পলিটিক্যাল হতে পারে আবার জঙ্গিদের কাজও হতে পারে। কোনো কিছু সুনির্দিষ্ট করে এখনই বলা যাবে না।”