মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিীর বক্তব্যে প্রতিবাদ ও ফাঁসি দাবি

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আব্দুস সালাম। ছবি- এনা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আব্দুস সালাম। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: বর্তমান সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর হযরত মুহাম্মদ (স:), হজ্ব, তবলিগ জামাত ও ইসলামবিরোধী বক্তব্য এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের কামলা বলার প্রতিবাদে প্রবাসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদে ঝড় অব্যাহত রয়েছে। সেই সব বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিসভা থেকে শুধু পদত্যাগ নয় তাকে মুরতাদ ঘোষণা করে তার ফাঁসি দাবি করা হয়েছে। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং বিভিন্ন মসজিদের আলেম- ওলামাবৃন্দ।
মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ( নিউইয়র্ক সময়) সন্ধ্যায় সচেতন প্রবাসী সমাজের উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের। কম্যুনিটি লিড়ার আমানত হোসেন আমানের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডেপুটি মেয়র আব্দুল সালাম, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, জাকির এইচ চৌধুরী, আবু সাঈদ আহমেদ, সাদী মিন্টু, আব্দুল কদির প্রমুখ।
বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে বলেন, মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী যে মঞ্চে আমাদের ধর্ম, প্রিয় নবী এবং প্রবাসীদের অপমান করে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উচিত ছিলো মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী যখন নবী করিম (স:) এবং ইসলাম ধর্ম বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তাকে জুতা মারা। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি অবৈধ সরকারের অবৈধ মন্ত্রীর ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদ করা ফরজ। তাই আমি এখানে এসেছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে লতিফ সিদ্দিকী একা নয় আরো দায়িত্বশীল লোকজন আছেন যারা ইসলাম ধর্মবিরোধী বক্তব্য দেন। আসলে আওয়ামী লীগ নেতারা ইচ্ছে করেই ইসলাম ধর্ম বিরোধী বক্তব্য দেন। তাদের পরিকল্পনা হলো ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দিলে ভারত খুশি হবে এবং তাদের ক্ষমতায় রাখবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিকার ইসলামে বিশ্বাস করেন তাহলে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রী থেকে বাদ দেবেন এবং আইনের মাধ্যমে বিচার করে তাকে ফাঁসি দেবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সরকার ও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়া হয় এবং তার ফটোতে থু থু দেয়া হয়।