কাউন্সিলর শানু সহ একই পরিবারের ৮ সদস্যকে আসামি করে হত্যা মামলা

Shanu-Councelorসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর খুলিয়াপাড়ায় মদন মোহন কলেজের ছাত্র, সাবেক মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা বেগম শানুর ছেলে সোহান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামাল ছাত্রদলকর্মী কামাল আহমদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরিবারের ৮ সদস্যসহ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার রাত পৌণে ১২টার দিকে নিহত কামালের স্ত্রী হ্যাপি বেগম সিলেট কোতোয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, তার স্বামী তাজুল ইসলাম, ছেলে রায়হান আহমদ, শানুর স্বামী তাজুলের ভাই নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ভাতিজা রিপন, কাজের ছেলে ইমরান আহমদ ও গৃহ পরিচারিকা জ্যোস্না বেগম। এর মধ্যে গৃহপরিচারিকা জ্যোস্না ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়া এলাকায় ছাত্রদলকর্মী কামাল আহমদকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কামাল ওই এলাকার নীলিমা ২৮ নম্বর বাসার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে। খুনের ঘটনার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর বাসায় অভিযান চালিয়ে ৯টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে নিহত কলেজ ছাত্র সোহান তার ছোট বোন নগরীর জিন্দাবাজারস্থ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত জাহান স্বর্ণাকে নিয়ে খুলিয়াটুলা বাসায় ফেরার পথে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কাছে আসার পর সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সোহানের উপর হামলা চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সোহান নগরীর খুলিয়াটুলার নীলিমা ৫২/৪ নং নেহার মঞ্জিলের তাজুল ইসলাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর ছেলে। পরে শানু বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নং ৩১ (২৮-০১-১৪)।
জানা গেছে, সাহানা বেগম শানুর সাথে স্থানীয় প্রতিপক্ষের বিরোধের জের ধরে খুন হন তার ছেলে কলেজ ছাত্র সোহান। ঘটনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাতে মামলার আসামি কামালের উপর হামলা করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। কামাল ছাত্রদলের রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা করতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।