গাজায় যুদ্ধে নিহত হামিদুর ধর্মপরায়ন ছিলেন

Hamidur Rahman Houseতজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ: তাজুদের নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত হামিদুর রহমান। ছোট বেলা থেকেই নামাজ পড়া ছিল ওই ছেলের অভ্যাস। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে সে শহীদ হয়। অল্প বয়সে সে মৃত্য বরণ করায় পরিবার মর্মাহত। তবে ভাল কাজে গিয়ে মৃত্যূ হওয়ায় শোকরিয়া আদায় করেন পরিবারসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
হামিদুরের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করছে। জন্মও সেখানে। মায়ের সঙ্গে ৫ বছর পূর্বে দেশে আসে সে। দুই সপ্তাহ দেশে থাকার পর লন্ডনে চলে যান। এরপর সে আর কখনো দেশে আসেনি। এসব কথাগুলো বলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহত হামিদুর রহমানের এক চাচী। হামিদুর রহমানের দুই ভাই তিন বোন। ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয় এবং দুই বোনের ছোট সে। বড় ভাই বাবলু মিয়া (৩৫), রেহেনা বেগম (২৭), ছায়মা বেগম (২৫), আয়েশা বেগম (২০)।
হামিদুরের মৃত্যূর খবরে যুক্তরাজ্যে চলছে কান্নার রোল। আর গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গতকাল বুধবার বিশ্বনাথের মীরেরচর হামিদুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে সুনশান নিরবতা। পরিবারের লোকজন বলতে একমাত্র চাচিই আছেন বাড়িতে। চাচা আব্দুল মনাফ ছিলেন বিশ্বনাথে। চাচি জানিয়েছেন, হামিদুর রহমান মৃত্যুর খবর তারা লন্ডন থেকে পেয়েছেন। আর এ খবরে তারা হামিদুরের জন্য কেঁদেছেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তিনি দেখেছেন হামিদুর মধ্যরাত পর ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েছে। পরিবারের সকল সদস্যকে নামাজ পড়তে সব সময় অনুরোধ করতো হামিদুর রহমান। এদিকে, হামিদুরের বাড়িতে গতকাল বিশ্বনাথ থেকে অনেকেই ছুটে গেছেন। গত শনিবার নিহত হামিদুর রহমানের শিরনী (ফুল) করেছেন। এদিকে উপজেলা জাতীয় পার্টি (এ) গতকাল হামিদুর রহমানের মৃত্যুতে উপজেলা সদরে দোয়া মাহফিল করেছে।
প্রসঙ্গতঃ ফিলিস্তিনের গাজার ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে মৃত্যুরবণ করেন বিশ্বনাথের হামিদুর রহমান। গত বুধবার নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হামিদুর রহমান মিরেরচর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল হান্নানের পুত্র।