বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিলে যুক্তরাষ্ট্রেও শেখ হাসিনাকে কোন সমাবেশ করতে দেয়া হবে না

বিএনপি ও তারেক আন্তর্জাতিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

BNP Logoনিউইয়র্ক থেকে এনা: আগামী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকা শহরে সমাবেশ না দিলে আগামীতে শেখ হাসিনাকেও যুক্তরাষ্ট্রে কোন সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ( নিউইয়র্ক সময়) বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং তারেক আন্তর্জাতিক পরিষদের এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারেক আন্তর্জাতিক পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বাদাল এ কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিমের পরিচালনায় সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ বশির, লংআইল্যান্ড ইউনিভার্সির প্রফেসর ড. শওকত আলী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, নিজামুল শাহীর, মোহাম্মদ হুমায়ুন, আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে আকতার হোসেন বাদল বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যা দিবস। স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকার ভোটার ও প্রার্থী বিহীন নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় সমাবেশের ঢাক দিয়েছেন কিন্তু বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী এখনো সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। উল্টো বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে এবং বাকশালী চরিত্রের বহি:প্রকাশ ঘটাচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি বিএনপিকে আগামী ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে না দেয় আগামীতে শেখ হাসিনা আমেরিকায় এলে তাকে কোথাও সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে, হামলা এবং মামলা দিয়ে অবৈধ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখনো ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছেন, যে কারণে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার নির্দেশ দিচ্ছে না। বেগম জিয়া যদি ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার নির্দেশ দেন তাহলে শেখ হাসিনার প্রসাদ কাচের ঘরের মত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তিনি বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাসির উদ্দিন পিন্টু, আব্দুস সালাম পিন্টু, আমানুল্লাহ আমান, মহিদুর রহমান, মির্জা আব্বাস, হাবিবুন নবী সোহেল, শফিকুল বারি বাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেখ মুজিবকে বড় রাজাকার বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা তিনি নিজের থেকে দেননি। তিনি বিভিন্ন জনের বই থেকে মাত্র উদ্ধৃতি তুলে ধরেছেন। তার জবাব না দিয়ে বা তা খন্ডন না করে প্রতিহিংসার বসবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মৃত ব্যক্তির আবার মানহানী কী? পৃথিবীর কোন দেশেই তো এই রকম আলামত নেই। শেখ হাসিনা আসলে তারেক জ্বরে ভুগছেন, তারেক আতঙ্কে কাঁপছেন যে কারণেই তার বিরুদ্ধে যত মামলা এবং পাগলের প্রলাপ। তানাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে একজন রাজনৈতিক নেতাকে জানোয়ারের সাথে তুলনা করতে পারেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতই হুমকি দেনা না কেন বাংলাদেশে এমন কোন কারাগার তৈরি হয়নি যেখানে তারেক রহমানকে রাখা হবে। শেখ হাসিনার এই স্বপ্ন কোন দিন বাস্তবায়ন হবে না যতদিন আমরা জিয়ার সৈনিকরা বেঁচে আছি। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের মুখ সমলানোর কোন প্রয়োজন নেই, দরকার আপনারা এবং আপনারা গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগের জিহ্বায় লাগাম দেয়ার।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।