শাবি ভিসি অবরুদ্ধ : সিন্ডিকেট ভবনে ছাত্রলীগের তালা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জামায়াতপন্থী দুই শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে উপাচার্য প্রফেসর আমিনুল ইসলামকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রলীগ। এ সময় তারা সিন্ডিকেট ভবন ও রেজিস্ট্রার ভবন ১-এ তালা ঝুলিয়ে দেয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছাত্রলীগ সিন্ডিকেট ভবন ও উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ফলে নির্ধারিত সিন্ডিকেট বৈঠক পণ্ড হয়ে গেছে। শাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আ ফ ম জাকারিয়া সংবাদ মাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উত্তম কুমার দাশ জানান, সিন্ডিকেট সভায় রসায়ন এবং পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে বাচাই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের কথা রয়েছে। রসায়ন বিভাগের বাচাই বোর্ডের সুপারিশ করা সাইফুল আলম এবং পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের বাচাই বোর্ডের সুপারিশ করা আমিনুল ইসলাম কাজলের চেয়েও মেধাবীও যোগ্যরা বাদ পড়েছেন। এছাড়া এই দুই জন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জানা যায়, রসায়ন ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জামায়াতপন্থী দুই শিক্ষকের চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য সকালে নির্ধারিত সিন্ডিকেট বৈঠক ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সে দাবি উপেক্ষা করে তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হলে সকালে সিন্ডিকেট ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। এ সময় সিন্ডিকেট সদস্যরা বৈঠকে অংশ নিতে আসলেও ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে ভেতরে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান। ফলে সিন্ডিকেট বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
পরে দুপুর ১২টার দিকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়ার সাথে দেখা করতে যান ছাত্রলীগের বিশ্বদ্যিালয় শাখার সহ সভাপতি অঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
উপাচার্যের সাথে দেখা করার পর অঞ্জন রায় জানান, দুই বিভাগের নিয়োগের বিষয়টি সোমবার সিন্ডিকেট সভায় তোলা হবে না বলে স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাই দুপুর দেড়টার দিকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ভবনের তালা খুলে দিয়েছি। এদিকে ছাত্রলীগের বাধার কারণে সকাল ১১ টার নির্ধারিত সিন্ডিকেট সভা দুপুর ২ টায় শুরু হয়। এই বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়ার মোবাইলে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।