ডিসির হস্তক্ষেপে ব্লু-বার্ড স্কুলের শিক্ষকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

স্কুলে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ ব্যাবস্থাপনা পরিষদের

blue bird schoolসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুরোধে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্যের সাথে অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকদের মধ্যে বিরোধের জেরে গত বুধবার থেকে তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে জেলা প্রশাসকের অনুরোধে আগামী রবিবার থেকে শিক্ষিকরা পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা জানান- গত বার্ষিক পরীক্ষায় ৯ম শ্রেণীর ৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করে। এদেরকে দশম শ্রেণীতে উর্ত্তীণ করে দিতে গভর্ণিং বডির সদস্য সালেহ আহমদ খসরু ও অ্যাডভোকেট কামাল হোসেইন চাপ দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। এর জের ধরে গত ২ এপ্রিল সালেহ আহমদ খসরু, এডভোকেট মালেক ও কামাল হোসেইন স্কুলে গিয়ে প্রভাষক রোকসানা বেগম তুলির সাথে অশোভন আচরণ করেন। বের হয়ে যাওয়ার সময় আমাকে পেয়েও তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। একপর্যায়ে সালেহ আহমদ খসরু আমাকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক, শিক্ষানুরাগী সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদকে অবহিত করা হয়। তারা ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
অধ্যক্ষ আরো জানান- ব্যবস্থাপনা পর্ষদের তিন সদস্যের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বুধবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে রাতে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দেয়া হয়। তিনি ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। ফলে আগামী রবিবার থেকে স্কুলের পরীক্ষা শুরু হবে।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য সালেহ আহমদ খসরু বলেন- শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসে যাচ্ছেন না -এমন অভিযোগ পেয়ে আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম। অধ্যক্ষের দেরি করে আসা ও শিক্ষকরা ক্লাসে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করায় অধ্যক্ষ আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ফেল শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়ার চাপ সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন- এ কাজ আমরা নয়, বরং অধ্যক্ষ করছেন। তিনি স্কুলে কোচিং বাণিজ্য করছেন।