মেঘের কোলে রোদ হাসছে
চারদিকে শীত-শীত ভাব। বৃষ্টি। থেমে থেমে। কখনো ঝুম। যেন বাজে ঝরনার গান, অবিরাম। সকালে ধর্মশালায় ফোন করে জানা গেল, গতকাল প্রায় সারাদিনই এভাবে মেঘমল্লার প্রভাব ছিল ওখানে। আজকের অবস্থা নাকি আগের দিনের চেয়ে ‘একটু ভাল’। সকালে রোদের হাসি চোখে পড়েছে। তো রাতে বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচ হবে? এবার কেউ কিছু বলতে পারছেন না। তা তো সম্ভবও নয়। এ যে প্রকৃতির খেলা। যে খেলে তার মানে শুধু সে-ই জানে। তবু পিপাসা মেটাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চোখ রাখা যেতে পারে।
পূর্বাভাসে বৃষ্টি দেখাচ্ছে। তবে আশার কথা হল আজ একটানা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শঙ্কা দেখাচ্ছে সন্ধ্যা নাগাদ। রাত আটটার পর আবহাওয়া ভালো থাকার কথা। সারারাতেও আর বৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। খারাপ দিক একটাই, যথেষ্ট ঠাণ্ডা থাকবে। তাপমাত্রা নেমে যাবে ৬, ৭ ডিগ্রিতে।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে বৃষ্টি একটু বিরতি দেয়। টানা বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত অনুশীলন করতে পারেনি দুই দল। আরাফাত সানি নাকি বৃষ্টি মাথায় করেই পরীক্ষা দিতে চেন্নাই রওনা হন সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে।
ধর্মশালার মাঠে মিরপুরের মতো নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলেও বাইরের অবস্থা ঢাকার চেয়ে ঢের ভালো। ঢাকায় যেখানে ৩০ মিনিট টানা বৃষ্টি হলে রাস্তা ডুবে যায়, ওখানে সারাদিন বৃষ্টিতেও রাস্তায় পানি দাঁড়াতে পারছে না। মাঠের প্রায় পুরোটা অংশ ঢেকে রাখা হয়েছে।
প্রতিপক্ষ ওমান বলে বাংলাদেশের স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। বৃষ্টি যদি রাতে থেমে থেমে হয়, আর খেলা যদি ৫ ওভারে নেমে আসে তবে বিপদ হতে পারে। এই চিন্তাই এখন ভর করছে বাংলাদেশের ওপর। কেননা খেলার সময় যত কমে আসে, ততই সুযোগ বেড়ে যায় অপেক্ষাকৃত ছোটো দলের জন্য। কম ওভারে স্কিলের কিছু থাকে না, ধুমধাম দুই একটা লেগে গেলে ম্যাচ বেরিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই হোটেলের ব্যালকনিতে বসে মাশরাফি-সাকিবদের উদভ্রান্ত মেঘে মন হারবার উপায় নেই।