পৌর নির্বাচন: গোলাপগঞ্জে মাঠ কাপাচ্ছেন জব্বার চৌধুরী ও শাহিন

Untitled-1 copyনোমান মাহফুজ, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে: সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবার মাঠ কাপাচ্ছেনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। চলছে তুমুল ভোটযুদ্ধ। রবিবার শেষ হচ্ছে প্রর্থীদের প্রচারণার কাজ। তাই যেন বসে থাকার সময় নেই। চলছে বিরামহীন প্রচারণা। নানা প্রতিশ্রুতি আর উন্নয়ন সম্ভাবনা এবং আশার বাণীতে ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরছেন তারা। এ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন প্রার্থী। পরিধি মাত্র ১৭ বর্গকিলোমিটার। তুলনামূলকভাবে ছোট এই পৌরসভায় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন এসব প্রার্থী। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় মাঠের প্রচারণায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সবাই। গোটা পৌরসভা প্রচারণায় সরগরম। রাতে প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকায় ভোরের অপেক্ষায় থাকেন প্রার্থীরা। সঙ্গে তাদের কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররাও। এ পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক (মোবাইল প্রতীকে) সিরাজুল জব্বার চৌধুরী বেশ এগিয়ে রয়েছেন । এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধূরী শাহিন। ইতিমধ্যে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির নের্তৃবৃন্দের মধ্যে এ্যডভোকেট আব্দুল গফফার, সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, ডা. শাহরিয়ার হুসেন চৌ:, আবুল কাহের চৌধুরী শামিম, আব্দুর রাজ্জাক, আলী আহমদ, অধ্যাপক আজমল হোসেন রায়হান, মওদুদুল হক মওদুদসহ প্রমূখ। তাদের পদচারণায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দকে উজ্জিবীত করেছে। তারা বিরামহীন ভাবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পৌর এলাকার অলিতে গলিতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিএনপি প্রার্থী শক্ত একটি অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল জব্বার চৌধূরীর মোবাইল প্রতীকের পক্ষে পৌর এলাকার বিভিন্নস্থরের ভোটারদের নিয়ে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে বিরামহীনভাবে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এবারে নতুন করে যোগ হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল জব্বার চৌধূরীর ছেলে মাজেদ শরীফ চৌধুরী পিতার পক্ষে মোবাইল ফোন মার্কায় ভোট চাইতে পৌর শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গনসংযোগ চালিয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। মাজেদ শরীফ বলেন, আমার পিতা গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।যার ফলে ভোটাররা বেশ আগ্রহ নিয়ে পিতার পক্ষে রায় দিবেন বলে আমাকে আশ্বস্থ করছেন। তাই আমি আমার পিতার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ছাড়াও বর্তমান মেয়র আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবী আমিনুর রহমান লিপন নারিকেল গাছ অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রাবেল জগ মার্কা নিয়ে মাঠে ভাল অবস্থানে রয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী খেলাফত মজলিসের মনোনিত আমিনুল ইসলাম আমিন ঘড়ি মার্কা ও জাপা মনোনিত (লাঙ্গল) প্রার্থী সুহেদ আহমদ মাঠে রয়েছেন। ভোটারদের মধ্যে তাদের দুইজনকে নিয়ে তেমন একটা আলোচনা শুনা যাচ্ছে না। গোলাপগঞ্জের সুধী সমাজের মধ্যে অনেকেই মনে করেন অপর প্রার্থীর ভোট নষ্ট করার জন্য বর্তমান মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু খেলাফত মজলিস ও জাপা নেতাদের সাথে আঁতাত করে এই দুই প্রার্থীকে দাড় করিয়েছেন। সচেতন মহলের ধারণা গোলাপগঞ্জে শেষ লড়াইয়ে ধানের শীষ ও মোবাইল ফোনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।