৪৩ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতে যাচ্ছে শহীদ রফিক উদ্দিনের কন্যা
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের এমপি কেয়া চৌধুরী’র প্রচেষ্টায় তৎকালীন বিডিআরের হাবিলদার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোঃ রফিক উদ্দিনের কন্যা সেলিনা বেগমের ভাতা পাবার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই সেলিনা ভাতা উত্তোলন করতে পারবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সুত্রে জানাগেছে । উক্ত মন্ত্রণালয়ে শহীদ কন্যা সেলিনাকে এমপি কেয়া চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার নিয়ে গেলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যদিও মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ১৯৭১ সালে। কিন্তু ৪৩ বছর পর এ ভাতা পেতে যাচ্ছেন তিনি। এ যুদ্ধে সেলিনার পিতা শাহ মোঃ রফিক উদ্দিন শহীদ হন। তিনি বিডিআর এর হাবিলদার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সেলিনাকে রেখে পিলখানায় গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে সেলিনা জানতে পারেন তিনি পাকিস্তানী হানাদারদের আক্রমণে শহীদ হয়েছেন। পিতা শহীদ হলেও তিনি পাচ্ছিলেন না শহীদের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি। অবশেষে এমপি কেয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর পূর্ণ স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে সেলিনা।
আলাপকালে জানা যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোঃ রফিক উদ্দিনের কন্যা সেলিনা বেগম(৪৮) এর কাছ থেকে।
যদিও সেলিনার পিতা যুদ্ধে শহীদ হন। বিভিন্ন কারণে তার সন্তান কোনো ভাতা বা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। সেলিনার স্বামী মুসলিম খাঁন শ্যামো এমপি কেয়া চৌধুরীকে এ বিষয়টি অবহিত করলে এমপি কেয়া চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও বিজিবি,র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে শহীদ সন্তানের সকল প্রকার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন সেলিনাকে।
এ ব্যাপারে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন,এমপি হিসাবে নয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে আমার নৈতিক দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে থেকে আপন জন হয়ে তাদের প্রযোজনে কাজ করে যাওয়া।