নবীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলরের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের থেকে মহিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Las 10-12-14===2উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জঃ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধা গ্রামে পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের রেলিং নইকার সাথে গলায় ওড়না পেছানো জ্যোৎস্না বেগম (৩৫) নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার বরেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে এ লাশ উদ্ধার হয়েছে। জ্যোৎস্নার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিন যাত্রাপাশা গ্রামে। স্বামী পরিত্যক্ত ওই জ্যোৎস্নার পিত্রালয় হবিগঞ্জ সদও উপজেলার উচাইল।
Las 10-12-14==1পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার ভোরে পৌর এলাকার গন্ধাগ্রামের ওই মহিলা কাউন্সিলর মিজানের বাড়ির প্রাচীরের নইকার প্রাচীর সংযুক্ত ছোট রেলিং পিলার সাথে জ্যোস্নার মৃতদেহ দেখতে তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । পুলিশে খবর দেয়া হলে নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত গৌর চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। সুরতহাল তৈরির সময় লাশের ব্লাউজের ভেতর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিরকুটে ওই মহিলার বাড়ি হবিগঞ্জের উচাইল এবং নাম জ্যোৎস্না বেগম লিখা আছে। পরে ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে জ্যোৎস্নার বাড়ি জেলার বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিন যাত্রাপাশা গ্রামে এবং স্বামী পরিত্যক্ত ওই জ্যোৎস্নার পিত্রালয় হবিগঞ্জ সদরের উচাইল বলে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, সহকারী পুলিশ সুপার (উত্তর সার্কেল) নাজমুল ইসলাম, নবাগত সহকারী পুলিশ সুপার সাজিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে কাউন্সিলর মিজানুর রহমান সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করলেও সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই আত্মগোপনে চলে যান বলে জানা গেছে। বানিয়াচঙ্গের ওই জ্যোৎস্না বেগমের মৃতদেহ নিয়ে রহস্য ঘণীভুত হচ্ছে। পুলিশসূত্র জানিয়েছে,কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বেলা দেড়টা পর্যন্ত তার বাড়ি গন্ধায় অপেক্ষা করেও মিজানকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। ওই মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় নবীগঞ্জের সর্বত্র নানা আলোচনা চলছে। মৃতদেহের সাথে পাওয়া চিরকুটে আরো অনেক কিছু লিখা থাকলেও পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এ মুহুর্তে তা বলতে অপারগতার কথা জানিয়েছে। জানা গেছে, ঐ জ্যোৎস্না বেগমের স্বামীর সাথে প্রায় ৮/১০ মাস পুর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে জ্যোৎস্না তার মহিলা পিত্রালয়ে বসবাস করতো। হবিগঞ্জের উচাইলের জ্যোৎস্না বেগম কেন নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধায় আসলেন,কে বা কারা তাকে এনে হত্যাকরে মৃতদেহটি মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের রেলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে রাখলো এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে গন্ধা এলাকায় কিংবা নবীগঞ্জের কোথাও ওই জ্যোৎস্নাকে কেউ কখনো দেখেছেন বা চিনেন এমন তথ্যাদি পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার রাতে ফোনে আলাপকালে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি তদন্ত জানিয়েছেন।