নবীগঞ্জে শেষ মুহুর্তে ঈদের মাকের্টে উপচেপড়া ভীড়
মহিলাদের প্রথম পছন্দ পাখিড্রেস ইন্ডিয়ান শাড়ী ও দাবাং থ্রিপিছ
এবং পুরুষদের পছন্দ থাই ও চায়না শার্ট-প্যান্ট
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ শেষ মুহুর্তে নবীগঞ্জে ঈদের আমেজে সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্থ। আর মাত্র ৩ দিন পরেই ঈদ,তাই পরিবারের সবাই এবং প্রিয়জনকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। সবাই পছন্দের পোশাক পরে ঈদের আনন্দ করার জন্য এদিক ওদিক ঘুরে কেনাকাটা করছেন। নবীগঞ্জের প্রতিটি কাপড়ের ফ্যাশন সপ,বিপনী বিতান এবং কসমেটিক্স দোকান গুলো এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়ে মুখরিত। উচ্চবৃত্ত,মধ্যবৃত্ত ও নিন্ম বৃত্ত সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখন ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্থ। সরেজমিনে বিপনীবিতানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এবারের ঈদে মহিলা ও তরুনীেেদর প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাখি ড্রেস,দাবাং ত্রিপিছ,ইন্ডিয়ান ক্যাটরিনা শাড়ী,সাকিরা শাড়ী,ইন্ডিয়ান ত্রিপিছ,ইন্ডিয়ান সুতি শাড়ী,জরজেট,জামদানী শাড়ী ও টাঙ্গাইল শাড়ী এবং পুরুষদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে চায়না প্যান্ট,চায়না শার্ট,থাইপ্যান্ট,সর্ট পাঞ্জাবী,ফতুয়া,চেক পুল ও হাফসার্ট। নবীগঞ্জ শহরের গোল্ডেপ্লাজার লাবনী ফ্যাশন,ডিজাইন টাচ,ষ্টাইল আইকন,জুই কসমেটিক্স,প্রীতিকনা ভেরাইটিজ স্টোর,মধ্যবাজারের কাশেম ক্লথ ষ্টোর,উত্তম বস্ত্রালয়,পপি ভেরাইটিজ সেন্টার,শেরপুর সড়কের রংধনু ক্লথ স্টোর,নবরূপা ক্লথ স্টোর,জে,ক,হাইস্কুল রোডের ফ্যাশন ষ্টোর,নুরানী মার্কেটের আল আমিন ক্লথ ষ্টোর,জাহাঙ্গীর ক্লথ ষ্টোর,লক্ষী বস্ত্রালয়,জনি ক্লথ ষ্টোর,নবরূপা ক্লথ ষ্টোর,রেনেসা ফ্যাশন,মিম্বর টাওয়ারে রছ,রাজা কমপ্রেক্সের মুক্তিযোদ্ধা বস্ত্র বিতান,অপরাজিতা কসমেটিক্সসহ শহরের অন্যান্য বিপনী বিতানগুলোতে এখন প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীর থাকে। বিপনী বিতানের পাশাপাশি পোষাক তৈরীর জন্য টেইলার্স দোকান গুলোতে ও ভীড় দেখা গেছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকী ঈদের। তাই শেষ মুহুর্তে নবীগঞ্জের সর্বত্র ক্রেতাদের কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ব্যস্থ। তবে তরুনী ও মহিলাদের আইটেমের মধ্যে ইন্ডিয়ান ক্যাটরিনা শাড়ী, ইন্ডিয়ান শাড়ী,মাজাক কালী শাড়ী,দাবাং ত্রিপিছ এবং পুরুষদের আইটেমের মধ্যে চায়না সার্ট,প্যান্ট,পাঞ্জাবী-পাজামাসহ গার্মেন্টেস এর পন্য বেশী বিক্রি হচ্ছে।
এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে গোল্ডেন প¬াজার লাবনী ফ্যাশনের পরিচালক শাহ শামীম আহমদ জানান,ঈদকে সামনে রেখে গত বছরের মতই হচ্ছে। তবে বিদেশী রেমিটেন্স কম আসায় বেচাকেনা আশানুরুপ হয়নি তরুনীদের আনরেডি ত্রিপিছ ও পুরুষদের সার্ট প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে বেশী।
একই মার্কেটের ডিজাইন টার্চ এ পরিচালক নিতেন দেব ও তাহের মিয়া জানান,ঈদের বিক্রি গত বছরের তুলনায় খুব ভাল হচ্ছে। মহিলাদের ইন্ডিয়ান শাড়ী, তরুনীদের ইন্ডিয়ান পাখিড্রেস,ইন্ডিয়ান ত্রিপিছ,,সুতি জেেজট ও জামদানী শাড়ী এবং পুরুষদের থাই ও চায়না প্যান্ট,থাই শার্ট,ধুতি,পাঞ্জাবী,পাজামা বিক্রি হচ্ছে বেশী।
মধ্য বাজারের উত্তম বস্ত্রালয়ের স্বত্তধিকারী জানান,ঈদের বাজারে বেচাবিক্রি ভালই হচ্ছে। মহিলাদের আনরেডি থ্রীপিছ,সুতী ও ব্লকের শাড়ী বেশী বিক্রি হচ্ছে এবং পুরুষদের সার্ট-প্যান্ট প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে।
কসমেটিক সামগ্রীর দোকান পপি ভ্যারাইটিজ সেন্টারের পরিচালক প্রমথ চক্রবর্তী বেনু জানান, এ বছরের ঈদে বাজারে মহিলা ও তরুনীদের প্রথম পছন্দ সিটি গ্লোল্ডের গলার হাড়, হাতের ছুড়ি এবং প্রসাধন সামগ্রী হিসাবে মেহেদী বিক্রি হচ্ছে বেশী। ইদের বেচাকেনাতে আমি খুশি।
নবীগঞ্জ জে,কে হাইস্কুল সড়কের ফ্যাশন ষ্টোরস এর সঞ্জয় কুমার দাশ জানান,ঈদের বাজারে বেচাবিক্রি এক রকম ভালই হচ্ছে। আরও ভাল বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
পুরুষ এবং বাচ্চাদের পোশাকের দোকান ;চয়েস’ এর পরিচালক দেবুল ভট্রাযার্য্য জানান, এখন প্রতিদিনই দোকানে প্রচুর সারাদিনই দোকানে কাষ্টমার থাকায় খুুব ভাল লাগছে। ঈদ উপলক্ষ্যে দোকানের ভাল বিক্রিতে আমি খুশি।
নবীগঞ্জ বাজারে ঈদের মার্কেটে আসা পানিউমদার স্কুল শিক্ষিকা কুহিনুর আক্তার জানান,জরজেট শাড়ী ও আনরেডি থ্রি-পিছ পছন্দের তালিকায় থাকলেও দাম বেশী হওয়ায় বাজেটে কতটুকু পোষাবে তা চিন্তা করছি।
নুরানী মার্কেটের লক্ষী বন্ত্রালয়ের পরিচালক সুজিত কুমার পাল জানান,গত বছরের তুলনায় বেচাবিক্রি ভাল। আমাদের নুরানী মার্কেটে নিন্মবৃত্ত,মধ্যবৃত্ত বিত্তসহ সকল শ্রেনীর লোকজনের পোশাক পাওয়া যায় তাই ক্রেতার উপস্থিতি আশানুরু ভাল।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মোঃ মহসিন আহমদ জানান,ঢাকা-সিলেটের মত নবীগঞ্জে ও এখন চাহিদামত পোশাক পাওয়া যায়। দাম একটু বেশী হলে ও এ বছর ২হাজার ৮ শত টাকা দিয়ে সার্ট ২হাজার ৫শত টাকা দিয়ে প্যান্ট এবার ঈদের পোশাক কিনেছি।
সিলেট ইন্টান্যাশনাল ইউনিভারসিটিতে পড়–য়া ছাত্রী ইশরাত জাহান বলেন,বছর ঘুরে আবার ইদ আসায় খুশী মনে কেনাকাটা করছি। জিনিসপত্রের দাম একটু বেশী হলেও নবীগঞ্জে পছন্দমত জিনিস ক্রয় করতে পেরে ৎকরে ভাল লাগছে।
শহরের মধ্যবাজারে শপিং মল গুলোতে উচ্চবিত্তের ক্রেতাদের ভীড় থাকলে শহরের নুরানী মার্কেটে নিম্ন মধ্যবিত্তের ক্রেতাদের ভীড় লক্ষনীয় বেশী । দাম অনেকাংশে কমে পাওয়া যায় বলে সেখানে সারাদিনই নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম বেশী।
নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, শহরের মধ্যবাজারে সপিংমল গুলোতে এবার শহরের ফুটপাতের দোকান না থাকায় ক্রেতারা সাচ্ছন্দে কেনা কাটা করতে পারছেন । নবীগঞ্জ বাজারের পরিবেশ ভালো সুষ্টু পরিবেশ থাকায় ক্রেতাদের অধিকাংশই নবীগঞ্জে তাদের কেনাকাটায় স্বস্থিবোধ করছে।