ইলিয়াস আলীসহ গুমকৃত নেতাকর্মীদের পরিবারের সাথে জেলা বিএনপির সাক্ষাৎ

Sylhet BNPডেস্ক রিপোর্টঃ নিখোঁজ হওয়া বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা এম. ইলিয়াস আলী গুমের ৪ বছর পুর্তি উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপি ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসুচীর অংশ হিসেবে এম. ইলিয়াস আলী সহ গুমকৃত নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
শনিবার দিনভর পর্যায়ক্রমে গুম হওয়া সকল নেতাদের পরিবারের সাথে পৃথক সাক্ষাৎ করেন তারা। এসময় নিখোঁজ হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ-এর নেতৃত্বে জেলা বিএনপির প্রতিনিধি দল সকাল ৯টায় এম. ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদী লুনা, ১০ টায় নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা জুনেদ আহমদের পরিবার, ১১টায় ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনারের পরিবার, বেলা ১টায় জননেতা এম. ইলিয়াস আলীর মাতা এবং বেলা ২টায় নিখোঁজ আনসার আলীর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী ছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, জেলা যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দীন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদ, বিএনপি নেতা মঈনুল হক, জেলা ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান নেছার, বিএনপি নেতা মুহিবুর রহমান মুহিব, হাজী গোলজার আহমদ, আব্দুল হাসিব, ছাত্রদল নেতা হানুর ইসলাম, এম এ মালেক, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, এনামুল হক মাক্কু, সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল ইবনে রাজা ও সুমন আহমদ বিপ্লব প্রমুখ।
নিখোঁজ নেতাকর্মীদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ কালে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাদের ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচীর ব্যাপারে তাদেরকে অবহিত করেন। নিখোঁজ নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যগন তাদের স্বজনদের ফিরে পেতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রবিবার মাসব্যাপী কর্মসুচীর অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার প্রাঙ্গনে কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিল এবং সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে স্ব স্ব এলাকায় কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিল কর্মসুচীর কথাও নিখোঁজ নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেন।স উল্লেখ করতে গিয়ে প্রবীণ এই মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানেই বিজয়। তিনি সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল থেকে সংগঠিত করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। ৯ মাস আমরা তার নামেই যুদ্ধ করেছি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইমরান আহমদ, জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অর্থনীতিবিদ ড. আহমদ আল কবির, জাতীয় চা বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব ড. একে মুবিন, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সামিউল আলম প্রমুখ।
শুরুতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসহযোগি সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।