বিয়ানীবাজারে নাজিমের বাড়িতে শোকের মাতম, লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানহারা মা বার বার মুর্চা যাচ্ছেন। আদরের বোনসহ স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস।
ছোট বোন নাছিমা বেগমকে সামাদ বলেছিলেন ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরবেন। বোড় বোনের সন্তানদের জন্য কি আনবেন জিজ্ঞেসও করেছিলেন। অসুস্থ মা অপেক্ষায় ছিলেন সামাদ বাড়ি ফিরবেন।
নাজিমুদ্দিন সামাদ আর কখনো বাড়ি ফিরবেন না এই খবর এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর মা ও বোনদের। মা তো শয্যাশায়ী হয়ে এখনো ছেলের ফেরার অপেক্ষায়।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা ইউনিয়নের টোকা ভড়াউট গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে নাজিম উদ্দিন আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত জানুয়ারিতে তিনি ঢাকায় যান। একটি মেসে থেকে লেখাপড়া করেন।
বুধবার রাতে রাজধানীর সূত্রাপুরে নাজিমউদ্দিনকে কুপিয়ে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তবে কি কারণে ও কারা তাকে খুন করেছে তা এখনো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, নাজিম খুনের সংবাদ জানাজানি হওয়ার পর থেকে নাজিমের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন। ছেলে হারা মা বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন। স্বজনরাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, নাজিমের মা-বোন, স্বজনরা কান্না করছেন। শোকাত অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে অবস্থায়ও রয়েছেন। বাড়িতে যেন ধ্বনিত হচ্ছে শুধু কান্নার আওয়াজ।
নাজিমের স্বজনা জানান, এখনো লাশ বাড়িতে পৌঁছেনি। আত্মীয়-স্বজন সবাই রয়েছেন তাদের প্রিয় নাজিমের লাশের অপেক্ষায়। শেষ দেখার পর তাকে নিজ গ্রামে দাফন করা হবে বলেন জানিয়ে স্বজনরা বলেন, নাজিমের বড় ভাই আজ যুক্তরাজ্য থেকে ফিরছেন। তিনি ঢাকা থেকে নাজিমের মৃতদেহ নিয়ে আসবেন।
৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নাজিম চতুর্থ। বড় ভাই জুলহাস উদ্দিন ও বাবা আব্দুস সামাদ আগেই মারা গেছে। তাঁর বড় ভাই শামীম উদ্দিন ও ছোট ভাই জসিম উদ্দিন থাকেন লন্ডনে। আর মেঝভাই সুনাম উদ্দিন থাকেন ফ্রান্সে।
আর ছোট ভাই থাকেন ফ্রান্সে। বড় বোন পারুল বেগম বিবাহিত। ছোট বোন ও মা তইরুন্নেছাকে নিয়েই দেশে পরিবার ছিল সামাদের।