দুই পুলিশ নিহতের ঘটনায় ফেন্সিডিলসহ চালক আটক

1931_1457007254ডেস্ক রিপোর্টঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ মহাসড়কের কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে ট্রাক চাপায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় প্রায় দেড়হাজার বোতল ফেন্সিডিলসহ ঘাতক ট্রাক ও এর চালককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত ওই দুই পুলিশ কমকর্তা হচ্ছেন দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি রাজারামপুর এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে উপপরিদর্শক সাদিকুল ইসলাম ও জয়পুরহাট জেলার ধীরতির সূতিঘাট এলাকার শাজাহানের ছেলে শিক্ষানবীশ সার্জেন্ট আতাউল ইসলাম।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম.এম ময়নুল ইসলাম জানান, সোনামসজিদের দিক হতে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ট্রাকে মাদক পরিবহন করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে প্রথমে কানসাট গোপালনগর মোড়ে ঘাতক ট্রাকটি থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয় পুলিশ। সিগন্যাল অমান্য করে ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিহত পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা মটরসাইকেলযোগে তাদের ধাওয়া করে।

এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় ট্রাকটি তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ২ পুলিশ কর্মকর্তা মারা যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিস মোড়ে ২ পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকারী ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুলের সামনে থেকে ১৪’শ ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে (ট্রাক নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৮৯৪৮) ট্রাকটি ও চালককে আটক করে।

আটক ট্রাক চালক ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার অনুরাগ গ্রামের আওয়ালের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৮)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি হামিদুর রশিদ ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে চালক সিরাজুল ইসলাম ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়। চালক সিরাজুল ও ট্রাকটিকে শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহত ২ পুলিশ সদস্যর লাশের ময়নাতদন্ত পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনস মাঠে বাদ জোহর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল্লাহ আল মামুন,জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন, এনএসআই এর উপ-পরিচালক মো. শামসুজ্জোহা সহ বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা শরীক হন। এরপর নিজ নিজ পরিবারের উদ্দেশ্যে দেশের বাড়ীতে লাশ পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুম নিশ্চিত করেছেন।