বাংলাদেশের মাঠিতে প্রথম কারাগার এবার হবে ‘সেন্ট্রাল পার্ক’

Sylhet Central Jailডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট নগরীর উপকণ্ঠ বাদাঘাটে নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৬ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে ‘নতুন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার’। তখন সিলেট নগরী থেকে স্থানান্তর করা হবে পুরাতন কারাগার। দীর্ঘ দুইশ’ বছরেরও বেশি সময়ের স্মৃতিবাহী এ আবদ্ধ স্থানটিতেই এবার প্রাণভরে শ্বাস নিবেন নগরবাসী; স্থানান্তরের পর পুরাতন কারাগারকে রূপ দেওয়া হবে ‘সেন্ট্রাল পার্ক’ হিসেবে।
sylhet jail picসিলেট নগরীর অভ্যন্তরে বর্তমানে বিদ্যমান সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারটি হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম জেল। এটির ঐহিতাসিক গুরুত্ব সুবিশাল। ২শ’ বছরের বেশি বয়সী এই কারাগারটির প্রাচীন স্থাপনাকালের স্বাক্ষী। তাই এই কারাগারের প্রাচীন স্থাপনা ও ঐতিহ্য বজায় রেখেই এখানে সেন্ট্রাল পার্ক নির্মাণ করা হবে।
কারাগারের অভ্যন্তরের একটি সেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাবাস করেছিলেন। তার স্মৃতিবাহী এই সেলটি এখন বঙ্গবন্ধু পাঠাগার নামে ব্যবহৃত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবাহী এই পাঠাগারকে আধুনিক রূপদান করে ধরে রাখা হবে এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য। এ অনুযায়ী আনুষঙ্গিক কাজও এগিয়ে চলছে।
কারাগার স্থানান্তর করার পর যে পার্ক নির্মাণ করা হবে তা নগরবাসীর জন্য থাকবে উন্মুক্ত। এর একটি অংশে থাকবে বিশাল পার্কিং জোন। বন্দরবাজার বা আশেপাশের এলাকায় আগত জনসাধারণ তাদের গাড়ি রাখার জন্য এই পার্কিং জোনটিই ব্যবহার করতে পারবেন। এতে বন্দরবাজার ও আশপাশের এলাকার যানজটও কমে যাবে অনেকটা।
বর্তমান কারাগারে স্থলে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল পার্কটির নাম এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এটি চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রকাশ করা হবে। গত সোমবার নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালেও অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত এ বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, নগরীর অভ্যন্তরে বিদ্যমান বর্তমান কারাগারটিকে চিত্তবিনোদনের জন্য পার্ক হিসেবে রূপ দেওয়া হবে। এটি হবে নগরবাসীর ফুসফুস।
সম্প্রতি সিলেট সার্কিট হাউসে অপর এক অনুষ্ঠানেও মন্ত্রী পুরাতন কারাগারকে পার্ক নির্মাণের পাশাপাশি বিশাল কারাগারের একটি অংশকে পার্কিং জোন গড়ার কথা বলেছিলেন।