কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মহিষের গাড়ি

Buffalow-Truck2জুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই-শাল্লাঃ বিজ্ঞানের সফলতা ও তথ্য প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া গরু ও মহিষের গাড়ি ভাটি বাংলার মেঠো পথে সচরাচর আর চোখে পড়ে না। গেতগোত শব্দ আর হেলেদোলে হাটা মহিষের গাড়ি নিয়ে রয়েছে নান গান ও কবিতা। এক সময় মহিষ ও গরুর গাড়ি ছাড়া অচল ছিল ভাটি অঞ্চলের গ্রামের রাস্থাঘাট। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাবের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এসব গাড়ি। শুকনো মৌসমে হাওরাঞ্চনের আনাছে কানাছে দেখা যেত গরু ও মহিষের গাড়ি। দিরাই-শাল্লার মেঠো পথে দু’একটি মহিষের গাড়ি এখন দেখা গেলেও তাতে নেই আর আগের মতো সুর ও চন্দ। মহিষের গাড়ি চলার সময় দূর থেকে যে শব্দ পাওয়া যেত তাতেই বুঝা যেত আসছে মহিষের গাড়ি। ধান মারাইয়ের পর বস্তা বন্ধি করে তা মহিষের গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতেন গ্রামের কৃষকরা। সারা রাত ধান মারাই করে ভোর রাতে বাড়ির উদ্ধেশ্যে রওয়ানা হতেন গাড়ি নিয়ে, প্রায় প্রতি দিনই সেই মধুর শব্দে ঘুম ভাংতো গ্রামের লোকজনের। সভ্যতার এ যুগে মাসের পর মাস গেলেও সেই শব্দ আর শুনা যায়না।
যেখানে গ্রামের রাস্তাঘাটে মহিষের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনের কথা চিন্তাও করা যেত না, সেখানে পাড়াগায়ের বিভিন্ন যায়গায় ডুবন্ত পাকারাস্তা হওয়ার ফলে গ্রামের সেই সব রাস্থা আজ রয়েছে ইুঞ্জন চালিত গাড়ির দখলে। যার জন্য এখন আর কেউ মহিষের গাড়ি দিয়ে পন্য আনা নেয়া করেন না। ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসার পন্যসহ কৃষকের ধান সরবরাহ করেন ইুঞ্জিন চালিত গাড়ি দিয়ে।
এক সময় গ্রামের বিয়েতে ব্যবহার করা হতো গরু ও মহিষের গাড়ি, বিশেষ করে বর-কনে বহনের কাজে ব্যবহার করা হতো এসব গাড়ি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের আগামি প্রজন্মের কাছে গরু ও মহিষের গাড়ি শুধুই গল্প হয়েই থাকবে।