বিশ্বনাথে খুন-চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি : আতংকে উপজেলাবাসী

downloadবিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে ঘনঘন খুন-ডাকাতি-চুরি বৃদ্ধি পেয়েছেন। ফলে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী আতংকে রয়েছেন এ জনপদের মানুষ। দেশে আসা প্রবাসীরাও ডাকাত আতংকে রয়েছেন বলে জানাগেছে।
গত দুই সপ্তাহে তিনটি রহস্যজনক মৃত্যু, দুটি ডাকাতি ও বেশ কয়েকটি গরু চুরি সংগঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে দুটি রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এসব হত্যাকান্ডের কোনো রহস্য এখনও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে শিগগিরই এসব ঘটনার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। এরজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় উপজেলা সদরের নতুনবাজারস্থ একটি বাসার সামন থেকে মাদরাসা ছাত্র সালমাল আহমদের (১৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার সদরের নতুনবাজারস্থ জামিয়া ইসলামী দারুল উলূম মাদাদিয়া মাদরাসার ফজিলত ১ম বর্ষের ছাত্র। সে সিলেটের গোলাপঞ্জ থানার বাঘা ইউনিয়নের পূর্বগাঁও গ্রামের ছোটন মিয়ার পুত্র। র্দীঘ চার বছর ধরে ওই মাদরাসায় সে লেখা পড়া করে আসছে। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে অজ্ঞাতানামা ৩/৪জন আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহত মাদরাসার ছাত্র সালমানের সহপাঠি নাঈম কে আটক করে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু নাঈম বর্তমানে জামিনে রযেছে।
গত ৩ জানুয়ারী উপজেলার রহমাননগর গ্রাম থেকে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মহিলার নাম আমিনা বেগম (২০)। তিনি রহমাননগর গ্রামের রফিক আলীর স্ত্রী। নিহতের পিতা মাসুক মিয়া দাবি করেন যৌতুকের টাকার না দেয়া তার মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী রফিক।
তবে রফিক আলী দাবি করেন তার সঙ্গে অভিমান করে স্ত্রী আমিনা বেগম বিষপান করে আত্বহত্যা করেছে।
গত ৪ জানুয়ারী সোমবার ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ৪ দিনপর সালমান নামের ৬ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সিঙ্গেরকাছেবাজারের আশিক মিয়ার কলোনীতে বসবাসকারী ঠেলাগাড়ি চালক মনা মিয়ার ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর এঘটনায় সোমবার রাতে সিঙ্গেরকাছবাজার থেকে আওলাদ আলী (৪০) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার বিশারদপুর গ্রামের বাসিন্ধা।
গত সোমবার রাতে উপজেলার রামকৃঞ্চপুর গ্রামের ফয়জুর রহমানের বাড়ি থেকে তিনটি গরু চুরি হয়। এর পূর্বে এলাকার বেশ কয়েকজনের গরু চুরি সংগঠিত হয়েছে।
বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন, এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর না হলে চুরি ডাকাতি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, যেহারে গরু চুরি ও ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী আতংকে রয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার (ওসি) আবদুল হাই সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি নিহতের ঘটনায় হত্য মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। এলাকায় পুলিশের টহল জোরধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।