কানাইঘাটে ইসকন নাম ব্যবহার করে মুসলিম পরিবারকে হয়রানী
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে সংখ্যালঘু ও ইসকন নামে ভুমি ও বাড়ি জবরদখল প্রচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সিলেটের কানাইঘাট থানার নয়াখলা গ্রামের মুহিবুর রহমান।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার নয়াখলা মৌজার সেটেলসেন্ট জরিপি ছাপা ৩৩নং খতিয়ানের ১৫০, ১৪১ ও ১৪২দাঘের ৫০শতক ভুমির এসএ রেকর্ডীয় মালিক দখলকার এর কাছ থেকে
গ্রামের মুহবুর রহমান ও তার ভাই ১৯৮০ ও ১৮১সালে খরিদ করেন। এর পর থেকে তা ভোগদখলের পাশপাশি বাড়িঘর নির্মান করে সেখানে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের রনজিৎ ও তার স্বজনরা ওই বাড়ি ও জমি তাদের ‘বিরুদ্ধ দখলীয় স্বত্ব’ দাবি করে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রতিপক্ষ ও ভমির দখলকার মুহিবুর রহমানরা স্থিতাবস্থার আবেদন করলে তা আদালতে প্রক্রিয়াধীন। আদালতে মামলা থাকাবস্থায় রনজিতরা
নানা ফৌজদারী মামলা দিয়ে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তাদের দেয়া একটি মামলার ফাইনাল রিপোর্টও দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু নাছোড় রনজিৎরা মুহিবুর রহমানদের বিরুদ্ধে আরেকটি ননএফআইআর মামলা করলে তাও আদালতে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় রনজিৎরা নিজেদের সংখ্যালঘু ও ইসকন সদস্য দাবি করে
পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ইসকন নামধারী কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে প্রভাব খাটোনোর চেষ্ট করছে । পাশপাশি পুলিশি সহায়তায় মুহিবদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মুহিবুর রহমানের অভিযোগ আদালত অগ্রাহ্য করে রনজিতরা ইসকন ও সংখ্যালঘু নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের বাড়ি ও ভুসম্পত্তি জবরদখরের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে সিলেটে নগরী থেকে ইসকন নামে কিছু লোক তাদের এ অপকর্মে সহায়তা করছে। সংবাদ সম্মেলনে মুহিবুর রহমান তাদের বাড়িঘর ও জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।