বিশ্বনাথে শিশু নিখোঁজের জিডি নেয়নি পুলিশ, ৪ দিন পর মরদেহ উদ্ধার

kids bodyডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর সালমান নামের ৬ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বিশ্বনাথের সিঙ্গেরকাছ বাজারের আশিক মিয়ার কলোনিতে বসবাসকারী ঠেলাগাড়ি চালক মনা মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গেরকাছ বাজর থেকে চল্লিশোর্ধ আওলাদ আলী নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আওলাদ আলী ছাতক উপজেলার বিশারদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে বিকেলে সিঙ্গেরকাছ বাজারের মাকুন্দা নদী থেকে শিশু সালমানের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়। সুরতহাল রিপোর্টে লাশের গায়ে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় সালমানকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে পুলিশের ধারনা।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয় ঠেলাগাড়ি চালক মনা মিয়ার শিশুপুত্র সালমান। এরপর এলাকায় মাইকিং, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করান দিনমজুর মনা। পরদিন ১ জানুয়ারি দুপুরে দিশেহারা হয়ে ছেলে হারানোর সাধারণ ডায়রি করতে বিশ্বনাথ থানায় যান মনা মিয়া। কিন্তু পাসপোর্ট সাইজের ছবি না থাকায় কর্তব্যরত আনোয়ার নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা জিডি নেননি বলে অভিযোগ করেন মনা মিয়া।
নিখোঁজের ৪দিনের মাথায় সিঙ্গেরকাছ বাজারের মাকুন্দা নদীতে শিশু সালমানের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে মনা মিয়াও সেখানে গিয়ে নিজ সন্তানের লাশ সনাক্ত করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এপ্রসঙ্গে, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল আহমদ অভিযোগ করে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার (মনা মিয়া) তিনি থানায় গিয়েছিলেন জিডি এন্ট্রি দায়ের করতে , কিন্তু ছেলের কোন ছবি না থাকায় আনোয়ার হোসেন নামের এক কর্মকর্তা জিডি এন্ট্রি নেননি।
এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ থানার অফিসারস ইন-চার্জ (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আওলাদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জিডি না নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।