পরিবেশ উন্নয়নে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার : পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি
আমাদের চারপাশের পরিবেশ নিয়ে অনেক কথা বলবার আছে। পরিবেশবিদরাসহ আরো অসংখ্য পেশার মানুষ বাস্তব কারণেই পরিবেশ বিশেষ করে বাসযোগ্য পরিবেশ নিয়ে উদ্বিঘœ। পরিবেশ একটি ব্যাপক বিষয় এবং পরিবেশের ব্যাপ্তি কিন্তু দেশের সীমানাদ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ উন্নয়নে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার। আজকে আমরা সচেতনভাবেই আলোচনাটিকে সীমাবদ্ধ করতে চেয়েছি “বাসযোগ্য পরিবেশ উন্নয়নে পাটজাত পন্যের ব্যবহারে করণীয়” বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবার লক্ষ্যে।
চটব্যাগকে হ্যাঁ বলুন। * পলিথিনের ব্যাগকে না বলুন।
এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি আয়োজিত “আমাদের বাসযোগ্য পরিবেশ ও পাটজাত পণ্য ব্যবহারে করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তন, সেগুনবাগিচা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং সুব্রত দাশ খোকনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এডভোকে শাহানা রাব্বানী এম.পি., অতিরিক্ত সচিব অসিত কুমার মুকুটমনি, ড. নিয়াজ পাশা, আব্দুল মোনায়েম নেহেরু, এডভোকেট শেখ আক্তাররুল ইসলাম, ইদ্রিসুর রহমান মধু, কবি লিলি হক, মিলাদ গাজীসহ সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী মেনন প্রমুখ।
বক্তারা মনে করেন পরিবেশ তথা বাসযোগ্য পরিবেশ উন্নয়নে আমাদেরকে নিম্নোক্ত কাজগুলো আন্তরিকতার সহিত করতে হবে।
পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
পন্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সঠিক বাস্তবায়ন।
পাটজাত পন্যের ব্যাগ সহজলভ্য করা।
পলিথিন বা পাষ্টিক ব্যাগ ব্যবহারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।
ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীদের মধ্যে সচেতনতা এবং বাধ্যবাধকতার অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
বাজার মনিটরিং করতে হবে নিয়মিত।
বহুমুখী পাটপন্য উৎপাদনে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ নেওয়া।
পাটপন্যের উন্নয়নে আধুনিক নকশা প্রণয়ন, কারিগরি ও বিপনন সংক্রান্ত সহযোগিতা প্রদান করা।
পাটপন্যের সমন্বিত বাজারজাতকরণ কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
এবং সবচেয়ে বড় কথা এটি সাধারণের জন্যে ব্যবহারবান্ধব যেনো হয়। কারণ ব্যবহাবন্ধব না হলে কেউ এই পাটপন্য ব্যবহার করবে না। কারণ চাপ প্রয়োগ করে আজকের যুগে সফল হওয়া কঠিন।