টেক্সাসের এলপাসো কারাগার থেকে আরো ১২ বাংলাদেশীর মুক্তি
নিউইয়র্ক থেকে এনা: টেক্সাসের এলপাসোর ডিটেনশন সেন্টার থেকে আরো ৯ জন বাংলাদেশী মুক্তি পেয়েছেন। গত সপ্তাহে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। গত ১৭ নভেম্বর ১ জন এবং ১৮ নভেম্বর আরো ২ জন বাংলাদেশীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনী কাজপত্রের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। টেক্সাসের এলপাসো কারাগারে ৪৮ জন বাংলাদেশী মুক্তির জন্য অনশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা তাদের অনশন ভঙ্গ করান। শর্ত থাকে তাদের পর্যায় ক্রমে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হবে। ড্রামের কর্মকর্তরা কাজী ফৌজিয়া এনাকে জানান, অনশন শেষে প্রথমেই অক্টোবর মাসে ১৬ জন বাংলাদেশীকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর বেশ কিছুদিন কাউকে মুক্তি দেয়া হয়নি। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথমে ৯ জনকে মুক্তি দেয়া হয়, ১৭ নভেম্বর মুক্তি দেয়া ১ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর মুক্তি দেয়া হবে আরো ২ জনকে। সবমিলিয়ে ৪২ জন বাংলাদেশীর মধ্যে ২৮জন বাংলাদেশীকে মুক্তি দেয়া হলো। এই মুক্তি প্রক্রিয়ায় কাজ করছে ড্রামসহ আরো কয়েকটি মূলধারার মানবাধিকার সংগঠন। কাজী ফৌজিয়া আরো জানান, যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের প্রায় সকলেই নিউইয়র্ক এসে পৌঁছেছেন। গত সপ্তাহে যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক এসেছেন। এদের টিকেটের টিকেট দিচ্ছেন মুক্তিপ্রাপ্তদের আত্মীয়- স্বজনরা। আর যাদের আত্মীয় স্বজন পাওয়া যাচ্ছে না তাদের টিকেটের ব্যবস্থা করছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার ও কাজী ফৌজিয়া। তারা নিজেরা সহযোগিতা করছেন এবং মানুষে কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছেন।
মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশীরা হচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন, এমডি আজগর আলী, কামরান আহমেদ, আব্দুল মান্নান, নূরুল আলম, সাব্বির আহমেদ, মোহাম্মদ নাজিম আহমেদ, ধনু মিয়া, আঙ্গসু দেব।
এ ছাড়াও মাসুদ রহমানকে ক্যালিফোর্নিয়া, আলআমিন হোসাইন, আমিনুল ইসলাম ও আবুল কাশেমকে মায়ামি ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তির করা হয়েছে।