কালাগুল চা বাগানে আবারও পুলিশের বাড়াবাড়ী : শ্রমিক অসন্তোষ

News-2 (1)সুরমা টাইমস ডেস্কঃ কালাগুল চা বাগানে আবার ও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। শান্ত বাগানটি পুলিশের বাড়াবাড়িতে আবারও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষ টেকাতে শিল্প পুলিশের আদলে কালাগুল বাগানে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ১টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে। এখন খোদ পুলিশই শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে চলেছে। গতকাল ১৬ নভেম্বর কালাগুল বাগান পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষে ৯জন শ্রমিক স্বাক্ষরে বাগান ম্যানেজার বরাবর ১টি লিখিত দরখাস্ত প্রদান করা হয়। লিখিত দরখাস্তে শ্রমিকরা জানান ১১ নভেম্বর কালি পূজা ২য় দিন রাত আনুমানিক ১২টায় বাগানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ এস আই (স:) ১০৯৯ অহিদ মিয়া এসে পুজার কমিটির নিকট চাঁদা দাবি করে। পূজা কমিটি চাঁদা দিতে অস্বিকার করায় এস আই অহিদ মিয়া পুলিশ নিয়ে পূজা অনুষ্ঠানে লাঠিচার্জ News-3 (1)করে শ্রমিকদের আহত করে। পুলিশের লাঠি চার্জে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। পুলিশের বেপরোয়া লাঠির্চাজে শ্রমিকরা ভিক্ষোব্দ হলে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। এই ঘটনা তাৎক্ষনিক ভাবে পুজা কমিটি বাগান ম্যানেজারকে অবগত করে। ম্যানেজার বিষয়টি মিমাংসা করার আস্বাস দিলেও চাদা দাবীকারী এস আই অহিদ মিয়া ১২ জন শ্রমিকের নামে জুয়া খেলায় বাধা দান এবং পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ এনে বিমান বন্দর থানায় ১টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৭, জি.আর১৮৯/২০১৫ বাগান শ্রমিকদের লিখিত দরখাস্থ গ্রহণ করেন কালাগুল চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার তোফায়েল আহমদ। শ্রমিকদের লিখিত দরখাস্ত পেয়ে তিনি পুলিশের এ ডিসি রহমদ উল্লার সাথে আলোচনা হয়েছে বলেন এবং ১ মাসের ভিতরে মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর ভিতরে কোন ধরনের শ্রকি হয়রানি হবে না বলেও উল্লেখ করেন। চা শ্রমিক সংঘের কালাগুল শাখার সভাপতি ভাসান চত্রী জানান ঘটনার পরের দিন বাগান ম্যানেজারকে জানানো হয়েছে। তখনও তিনি বলেছেন বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাবে। কিন্তু দেখা গেল মিমাংসা না হয়ে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখনও ম্যানেজার ১ মাসের ভিতরে মামলার ফাইনাল দেওয়ার কথা বলছেন এটা চা শ্রমিক সংঘের নেতৃত্বকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র। সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল চাষা বলেন চা শ্রমিকরা সরল সহজ। পুলিশ অতি উৎসায়ি হয়ে কাজ করছে। শান্ত বাগানকে বন্দুক দিয়ে অশান্ত করছে। শ্রমিকরা লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে এবং শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুজার রাতে পুলিশ আমাদের মা-বোনদের উপর লাঠির্চাজ করেছে। গুলি চুড়েছে। তারা কালাগুল বাগানে পুলিশের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবাস্থা গ্রহণের দাবি জানান।