গাড়ির ঝাড়ায় কমরর হাড্ডি ছুটি যারগি নাতি, রাস্তা ইকানর কিতা অবস্থা

মীরগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা। সমস্যা সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ
মীরগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা। সমস্যা সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ

গোলাপগঞ্জ উপজেলার একাংশ ও ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক মীরগঞ্জ-ফেঞ্জুগঞ্জ রোডের অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা।এ রোডের কিছু সড়ক পাকাকরণ না হওয়ায় ক্রমশই বাড়ছে জনদূর্ভোগ। এ দূর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সংস্কারেও নেই কোন অগ্রগতি। দূর্গতিই এখন গতি!
সরজমিনে দেখা যায়,  খানাখন্দে ভরা সড়কটি পরিণত হয়েছে ‘মরণ ফাঁদে’। এই সড়ক দিয়ে দুটি উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর পূর্বপাড়া,ফতেহপুর মাঝপাড়া,ফতেহপুর পশ্চিমপাড়া,হাওরতলা,ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা,সুলতানপুর,গঙ্গাপুর বাসিন্দাসহ আশপাশ এলাকার জনসাধারণ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।অনেকে সিলেটে সহজে পৌছাতে এই সড়কপথ যাতায়াতের জন্য বেছে নেন।এই সড়কপথে অনেক যানচলাচল করে।কিন্তু সড়কটির কিছু অংশ এখনো পাকাকরণ হয়নি।পাকাকরণ না হওয়ায় যানচলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।প্রায়ই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। তবুও দেখে ও না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সেই পথ দিয়ে গাড়ি করে ফেঞ্জুগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে ফতেহপুর গ্রামের বৃদ্ধ জইন উদ্দিন বলেন”গাড়ির ঝাড়ায় কমরর হাড্ডি ছুটি যারগি নাতি,রাস্তা ইকানর কিতা অবস্থা”।
মীরগঞ্জ এম,আই দাখিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র নুরুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়,”এই কাচা সড়ক দিয়ে অধিক যানবাহন চলাচল করে,এর ফলে বর্ষা মৌসুমে অনেক কাদা গ্রীষ্ম মৌসুমে অনেক ধুলাবালির সৃষ্টি হয়।এতে মাদ্রাসায় যাওয়া আমাদের খুবই কষ্টকর হয়ে পরে।জামা কাপড় কাদা ধুলাবালিতে ভরে যায়”।
ফতেহপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ হতে গঙ্গাপুর পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ হওয়ায় ভালবাবে লোকজন যাতায়াত করতে পারে।কিন্তু মীরগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড হতে ফতেহপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত এবং গঙ্গাপুর হতে ফেঞ্জুগঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ না হওয়ায় অধিক যানচলাচলে রাস্তার অবস্তা খুবই বেহাল।গঙ্গাপুর হতে ফেঞ্জুগঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণের কথা থাকলেও প্রায় দুই বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সড়কের পাকা করণ হয়নি।এ দুরবস্থা দেখার কেউ নেই।দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধির কোন মহলই উদ্যোগ নিচ্ছেনা এই সড়ক পাকাকরণে।জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকম চলছে যানবাহন। এলাকার লোকজন সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ে রোগিদের এ সড়কপথ দিয়ে নিয়ে যেতে।
সিএনজি চালক হাসেম উদ্দিন জানান,অনেক সময় সিএনজি ড্রাইভাররা চাঁদা তুলে ইট পাটকেল ফেলে সড়কটি কিছুটা চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করেন।কিন্তু অধিক যানচলাচলে সড়ক আবার যেই সেই হয়ে যায়।
সেখানকার স্থানীয় ভাদেশ্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম,এ,ছালিক জানান,”ফতেহপুর পূর্বপাড়া হতে মীরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণ কাজ বাকি রাস্তা পাকাকরণের সাথে হয়ে যেত।কিন্তু এই রাস্তাটি বর্তমানে যে দিকে গেছে, সে দিকে নয়।এই রাস্তাটি বর্তমান রাস্তার উত্তর দিকে।যখন রাস্তার অন্য অংশ পাকাকরণ কাজ চলে,তখন উত্তর দিকে রাস্তা নিতে চাইলে জায়গার দখলদাররা জায়গরা দখল ছাড়তে আপত্তি জানায়।তাদের আপত্তির কারণে এই রাস্তাটির পাকাকরণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।মীরগঞ্জ বাজারের স্কুল রোডের রাস্তা মেরামতের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।অতি শিগগির মেরামত কাজ শুরু হয়ে যাবে”।
এই রাস্তা দিয়ে যানবাহনে চলাচলকারি লোকেরা আশা করেন,গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা এই সড়কটি পাকাকরণের কাজে বাধা প্রদানের সমস্যা, প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে যাতে সমাধান করেন।মীরগঞ্জ-ফেঞ্জুগঞ্জ সড়কের যে অংশ পাকাকরণ হয়নি সে অংশ পাকাকরণের ব্যবস্থা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

জাহিদ উদ্দিন
গোলাপগঞ্জ,সিলেট
মোবা:০১৭৩৬১৪৪৬১৭