ঈদের আনন্দ নেই ফেঞ্চুগঞ্জের আব্দুল মান্নানের বাড়ীতে

syria-missing-fanchuganjসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ আর দুই বা একদিন পরই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবিত্র ঈদ উল ফিতর দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ধর্মপ্রান মুসলমানরা যার যার সাধ্যমত চেষ্টা করছেন পবিত্র ঈদের আয়োজন সেরে ফেলতে । অনেকে আবার সেরে ফেলেছেন,কিন্তু সেই পরিবারটির মুখে কোন আনন্দ নেই ,নেই কোন ঈদের আয়োজন।
বাংলাদেশী বংশোদুত বৃটিশ নাগরিক আব্দুল মান্নান ও আব্দুল লতিফের ছেলে সহ ১২ সদস্য লন্ডন যাওয়ার পথে সিরিয়া চলে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে এই পরিবারটি।গত ১১ মে যুক্তরাজ্য ফেরার পথে তারা কাউকে না জানিয়ে তুরস্ক থেকে সিরিয়িা পাড়ি দেন। ১২ মে সন্ধ্যায় তারা সিরিয়া প্রবেশ করে ১২ সদস্যের এই পরিবার য়ার মধ্যে রয়েছেন আব্দুল লতিফের বড় ভাই আব্ধুল মন্নান ,ও বাংলাদেশে বসবাস রত আব্দুল লতিফের ছেলে সাকের সহ মান্নানের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে নাতি নাতনী সহ ১২ সদস্য এভাবে হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে সিরিয়া চলে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে পুরো পরিবার।গত সোমবার সরজমিনে এই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল বেশ বড় বাড়ী দুই পাশে চার,পাচটি ঘর, কিন্তু কোন মানুষ জনের সারা শব্দ নেই ,বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে দেখা মেলে মধ্য বয়সি এক মহিলার, সম্ভবত কাজের লোক,বাকি তিনটি ঘরে আর কাউকে দেখা গেল না। মহিলা আং লতিফের ঘরের দরজা খুলে দিয়ে ভিতরে বসতে বল্লেন।অসুস্থ আং লতিফ উঠে এসে তার রূমে নিয়ে গেলেন। অনেক কথা হল তার সাথে কিন্তু তিনি কথা খুব কম বলেন এখন, ভাই, ছেলে ,ভাবী ,ভাতিজী ,নাতি ,নাতনীদের আর দেখেতে পাবেনা বল্লেন তিনি,তার শরীর এখন ভাল নয়, ঘর থেকে কোথাও বের হন না সারাক্ষন দরজা বন্ধ করে বসে বসে খবরের কাগজ পড়েন সেই আশায় যদি কোন ভাল সংবাদ পেয়ে যান।আবার কথার ফাকে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লেন বল্লেন না , এরা আর আইতো নায় রে বা,কিতা যে তারার মাথায় ডুকল, বল্লেন আমার জন্য দোয়া করিও। বলে বিদায় দিয়ে দিলেন।বাড়ীটি মনে হয় যেন মরা বাড়ির মত, বের হয়ে পাশের বাড়ির এক লোকের সাথে দেখা(নাম প্রশাশে অনিচ্চুক)বল্লেন থুব থারাপ লাগের এত গুলা মানুষ এক লগে ইলা গেল মানা যার না।আরো বল্লেন এরা খুব ভালা , দুইদিন পর ঈদ কিন্তু তারার ঘরে কোন আয়োজন নেই।এমনটা আমরাও মানতাম পারিয়ার না তারা কিলা মানতা।