সিলেট বিমানবন্দর থানাকে পুলিশ কমিশনারের আলটিমেটাম
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে বিমানবন্দর থানাকে আলটিমেটাম দিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার কামরুল আহসান। এজন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌছুল আলমসহ সকল পুলিশ সদস্যদের আগামী ওপেন হাউস ডে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এসএমপির অর্ন্তভূক্ত ৬ থানার একটি বিমানবন্দর। থানা এলাকাতে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে অতিষ্ট এলাকাবাসী। চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা আর জুয়া খেলা যেনো এ এলাকার স্বাভাবিক চিত্র। বিভিন্ন এলাকাতে সন্ত্রাসীদের উৎপাতেও সাধারণ মানুষ বিপাকে।
শনিবার এই থানায় অনুষ্ঠিত হয় ওপেন হাউস ডে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপচে পড়লো ভুক্তভোগী মানুষদের নালিশ। সাহেববাজার, ফড়িংউড়া, নগরীর চৌকিদেখীসহ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানের মানুষরা তুলে ধরেন তাদের অভিযোগ। এসব শুনে এসএমপি কমিশনার কামরুল আহসান কঠোরভাবে শাসিয়ে দিয়েছেন বিমানবন্দর থানার ওসি গৌছুল আলমসহ অন্যান্যদের। কঠিন ভাষায় তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সামনের ওপেন হাউস ডে আসার আগেই যেনো থানাধীন প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ‘ইন্ডিয়ান-বাংলা জুয়া খেলা’ মুক্ত হয়। এটা রুখতে জনগনকে সাথে নিয়ে পুলিশকে কাজ করতে আহ্বান করেন কামরুল আহসান।
তিনি এসময় থানার পুলিশ সদস্যদের হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী ওপেন হাউস ডে আসার আগেই সাহেববাজার, ফড়িংউড়া ও চৌকিদেখী এলাকাতে চলমান জুয়ার আসরগুলো ভেঙ্গে দিতে হবে, এখানে কোনো তীর খেলা চলবে না। প্রতিটি মদের পাট্টা ভেঙ্গে দিতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে। এর সাথে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার সংবাদ কারো থাকলে তার কাছে জানানোর অনুরোধ করেন কমিশনার। জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
কমিশনারের কাছে এসময় ‘হুদা’ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো। ওই হুদাই নাকি ইন্ডিয়ান-বাংলা জুয়ার আসরগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এসএমপি কমিশনার মেট্রোপলিটনের প্রতিটি থানাধীন এলাকা, পাড়া-মহল্লাতে সাধারণ মানুষদের নিয়ে অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। কমিশনার প্রতিটি পুলিশ সদস্যদের নিন্দনীয় আচরণ ত্যাগ করে মানুষদের সুন্দর আচরণ উপহার দেওয়ার তাগিদ দেন। টুকেরবাজার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রং বাহাদুর ঝুটে ওরফে গুরুধন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন তার ওয়ার্ডে কোনো জুয়া খেলা হয় না। আর মদের যেসব পাট্টা রয়েছে সেগুলোতে বাগানের শ্রমিকদের জন্য। এখানে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিরাই মদ সেবন করে থাকেন। এখানে বহিরাগত কেউ যান না। চাবাগান শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালাও সমর্থন দিয়েছেন মেম্বারের বক্তব্যকে।