ওসমানী জাদুঘর : উদ্বোধন হলেও নামফলক নেই

osmani_jadugor_29.08.15সুরমা টাইমস ডেস্কঃ উদ্বোধনের পরও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে ওসমানী গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি । ভবন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর জাদুঘরটি উদ্বোধন হওয়ার আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও দর্শনার্থীদের জন্য এখানে কোনো সরঞ্জামাদি রাখা হয়নি।
তাছাড়া পরিচর্যা করার জন্য স্থায়ীভাবে কেয়ারটেকার নিয়োগ না দেয়ায় পুরো জাদুঘরটি অপরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। জানা যায়, ভবনটিতে বিশাল লাইব্রেরি কক্ষ, কেয়ারটেকার কক্ষ, ওয়েটিং কক্ষসহ ৫টি কক্ষসহ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক বাথরুম রয়েছে। তাছাড়া ভবনের সু-নিপুণ কারুকার্য যে কাউকে আকর্ষণ করে।
তবে জাদুঘরটি একনজর দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এলেও নিরাশ হয়ে তাদের চলে যেতে হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর স্মৃতি রক্ষার্থে ওসমানী গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর এর উদ্বোধন করা হয় ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর। প্রায় ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাদুঘরের উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় (বর্তমান ওসমানীনগর উপজেলা) বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর নিজ গ্রাম ও পৈতৃক নিবাস দয়ামীরে ওসমানী গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম প্রান্তে নির্মাণ করা হয়েছে এই ১তলা বিশিষ্ট ভবনটি। মহাসড়ক থেকে ভবনের সৌন্দর্য দেখে যে কেউ আকর্ষিত হলেও ভবনটির সামনের কোনো অংশে ওসমানীর নাম চিহ্নটুকুও এখন পর্যন্ত লেখা হয়নি।
ফলে বোঝার উপায় নেই যে মহান বীর, বাঙালির সূর্য্য সন্তান ওসমানীর স্মৃতি রক্ষার্থে এখানে এই জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। জাদুঘর সম্পর্কে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও চালু না হওয়ার কারণে সেখানে কেউ যায় না।