আন্দোলনের মুখে বাতিলকৃত লাক্কাতুরা চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে কাজে পূণর্বহাল

8024.jpegসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন, লাক্কাতুরা চা বাগান শাখার উদ্যোগে ৪ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হয়েছে। কাজ থেকে বাতিলকৃত নেতৃবৃন্দকে কাজে পূণর্বহাল, প্রতি কেজি ঠিকা পাতি (ওভারটাইম) ৫ টাকা মজুরি নির্ধারণ, স্থায়ী এম.বি.বি.এস ডাক্তার নিয়োগসহ ৪ দফা দাবিতে গত ৭ আগস্ট’ ১৫ থেকে আন্দোলন শুরু হয়। ওইদিন লাক্কাতুরা চা বাগানের রেস্ট ক্যাম্প বাজারে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়। চা শ্রমিক ফেডারেশনের এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চুড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনের নেতা বীরেন সিং, লাংকাট লোহার, রাজর্স্বী দাশ শেলী ও দেলোয়ার হোসেন (আমেনা বেগমের পুত্র) কে কাজ থেকে বাতিল করে বাগান কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন নেতৃবৃন্দকে কাজে নিযুক্ত করেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠন গত ২১ আগস্ট’১৫ পুণরায় রেস্ট ক্যাম্প বাজারে বিগক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে গতকাল শনিবার লাক্কাতুরা চা বাগান অফিসের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচীসহ ধারাবাহিক আন্দলনের ঘোষণা দেয়া হয়।
গতকাল শনিবার সকাল ৮ টা থেকে পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়। গণতান্ত্রিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত কর্মসুচীর এক পর্যায়ে বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের প্ররোচনায় পুলিশ বাহিনী কর্মসূচি পন্ড করতে তৎপর হয়ে ওঠে। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা কর্মসূচী চালিয়ে যান। চা শ্রমিকদের এই সংগ্রামী ভূমিকার কাছে পুলিশই শুধু পিছু হটতে বাফহ্য হয়নি। উপরন্তু বাগান কর্তৃপক্ষও বাধ্য হয়ে চা শ্রমিক ফেডারেশন এর সাথে আলোচনায় বসেন। কর্তৃপক্ষ নেতৃবৃন্দকে কাজে পূণর্বহাল ও কাজ বন্ধ থাকাকালীন সময়ের মজুরি প্রদান এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে সকাল ১০ টায় নেতৃবৃন্দ কাজে যোগদান করেন এবং আন্দোলন কর্মসূচী স্থগিত করেন।
সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার সভাপতি সুশান্ত সিনহা, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হৃদেশ মুদি, সংগঠন লাক্কাতুরা বাগান শাখার সভাপতি বীরেন সিং, সাধারণসম্পাদক লাংকাট লোহার, অজিত দাস,রাজর্স্বী দাশ শেলী, আমেনা বেগম প্রমুখ।