রাজন হত্যা মামলা : গাফিলতির দায়ে ইন্সপেক্টর আলমগীরকে রংপুরে বদলি

Alomgir Inspectorসুরমা টাইমস ডেস্কঃ কিশোর সামিউল আলম রাজন হত্যার ঘটনায় সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শেখ সামিউল আলম রাজনে বাবার সাথে অসাধাচরণ, মামলা নিতে গড়িমসি ও দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে থানা থেকে প্রত্যাহারের পর এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হলো মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে।
সাময়িক বরখাস্ত করার পর আরেক আদেশে তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এর পূর্বে ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহার করেছিল এসএমপি পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে পুলিশের হেড কোয়ার্টারের নিদের্শে এসএমপি কশিনার মো. কামরুল আহসান এ আদেশ দেন। এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সিলেটে ১৩ বছর বয়সী শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যাকান্ডের পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি তাদের ৪২৪ পাতার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরদিন শুক্রবার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে Inspector Alomgirপ্রত্যাহার এবং এসআই আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। রাজনের বাবার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ১৪ জুলাই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে এসএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেন এসএমপি পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলেও গত ১৭ জুলাই কমিটির সময় আরো ৫ দিন বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত পুলিশ-কমিশনার এসএম রুকন উদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে আরো ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুশফেকুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা। পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমতউল্লাহ সাময়িক বরখাস্তের ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, রোববার রাতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ আসে। আলমগীরকে এখন রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এর আগে একই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন যুবক। পৈশাচিক হত্যকান্ডের তিনদিনের মাথায় শিশু রাজনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার একটি ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে দেশব্যাপী একর পর কর্মসূচি পালন হতে থাকে। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-টুইটারেও।