সিলেট রেলস্টেশন এলাকা : অভিযানের পর অভিযান- অপরাধীরা বেপরোয়া

Sylhet Rail Stationস্টাফ রির্পোটার : অভিযানের পর অভিযান তারপরও সিলেট রেলস্টেশন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় এবং অসামাজিক কর্মকান্ড দমানো যাচ্ছেনা। অজানা কারণে অপরাধী চক্র দিন দিন আরো বেড়ে চলছে। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। হর-হামেশা ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে মাদক দ্রব্য। সিলেট নগরীর বৃহৎ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের হাট হিসেবে রেলস্টেশন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একের পর এক অভিযান পরিচালনা করলেও অদৃশ্য ক্ষমতা কিংবা শক্তির কাছে তাদের হাত গুটিয়ে নিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সামাজিক পরিচিতির আড়ালে প্রভাবশালীরাও জড়িয়ে পড়েছেন লাভজনক ওই অবৈধ ব্যবসায়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনও রহস্যজনক কারণে ফলপ্রসু ভুমিকা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় , রেলস্টেশন এলাকায় নির্বিগ্নে চলছে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন । নেশা গ্রহণকারীদের বৃহৎ একটা অংশ উঠতি বয়সের যুবকরা। বৃত্তশালী থেকে শুরু করে দরিদ্র পরিবারের যুবকরাও পর্য আত্মঘাতি ওই মাদকদ্রব্য গ্রহন করছে। এদিকে রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নানা ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে নির্বিঘেœ। অভিযোগে প্রকাশ, মাদক ও নারী ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্টহারে মাসোহারা দেয় কদমতলী ফাঁড়ি ,জিআরপি পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ,স্থানীয় মাস্তান সহ সরকার দলীয় একাধিক প্রভাবশালী নেতাদের। যার জন্য তারা নির্বিগ্নে মাদকের হাট ও অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে। সূত্র জানায়, স্টেশনের নিকটবর্তী রফিক ও রহিমের কলোনীসহ বেশ কয়েকটি কলোনীতে মাদক দ্রব্যসহ অসামাজিক কার্যকলাপ প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। মাদকের কবলে পড়ে যুব সমাজসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এতে বিপদগামী হচ্ছে। মরণ নেশায় আশক্ত হয়ে যুবকরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। সূত্র আরো জানায়, প্রভাবশালীদের এড়িয়ে যারা মাদক ব্যবসা করছে মূলত তারাই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। প্রকৃতপক্ষে আসল অপরাধীরা সর্বত্রই অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। এতে করে একাধিক মাদক বিক্রেতা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও মাদক উদ্ধারের পরিমাণ নিতাই সামান্য। যা লোক দেখানো অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে বিত্তশালী পরিবারের যুবকদের নেশাগ্রস্থ করে সর্বস্য লুটের ঘটনাও ঘটছে একাধিক। শুধু তাই নয়, কদমতলী ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ । নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দাগণ জানান, কদমতলী ফাঁড়ি পুলিশের অভিযান মানে উৎকোচের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এদিকে রেলস্টেশন , পুরাতন ব্রিজের দক্ষিন মুখ এই সব স্থানে প্রায়ই ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া যুবকরা লোকলজ্জার ভয়ে তা চেঁপে যাওয়ায় পুলিশী খাতায় এ ব্যাপারে কোন তথ্য নেই।