মাধবকুন্ডে ইজারাদারের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ : পর্যটকের আগমন হ্রাস

স্টাফ রির্পোটার : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোপার্ক ও পর্যটন কেন্দ্র মাধবকু- জলপ্রপাতে পর্যটক আগমন হ্রাস পেয়েছে। বছরের এ সময় ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব কিংবা দিবসগুলোতে মাধবকু- জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যেতো। কিন্তু অবরোধ ও হরতালে মাধবকুন্ডে পর্যটক আগমন হ্রাস পেয়েছে। নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে মাধবকুন্ডে র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা ইজারাদারের লোকজন কর্তৃক প্রায়ই নানাভাবে হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইজারাদার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মৌসুমের এই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারও পর্যটকের উপস্থিতিতে মাধবকু- জলপ্রপাত এলাকা লোকে লোকারণ্য থাকে। মাধবকুন্ডে র প্রবেশপথের অবস্থা শোচণীয় হলেও মৌলভীবাজার-বড়লেখা সড়কের কাঁঠালতলী থেকে মাধবকুন্ড পর্য ৮ কিলোমিটার রাস্তায় লেগে থাকে ছোট-বড় যানবাহনের ভীড়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্য পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আগমন ঘটে থাকে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। এদিকে অবরোধ-হরতালের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কম হলেও যারা আসেন তাদের কাছ থেকে ইজারাদার পক্ষ মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায় করছে বলে ভুক্তভোগী একাধিক সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার জলপ্রপাত এলাকায় গিয়ে ইজারাদারের লোকজনের পর্যটক হয়রানি ও চাঁদাবাজির চিত্র দেখা গেছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে মাধবকুন্ডে বেড়াতে আসা সিব্বির আহমদ অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থী ও শিশুদের টোল অর্ধেক রাখার নিয়ম থাকলেও গেইটের ম্যানেজার গণহারে জনপ্রতি ১০ টাকা করে টোল আদায় করেন। অর্ধেক হারে টোল রাখার ব্যাপারে বন বিভাগের নির্দেশনার কথা বললে ইজারাদারের লোকজন তাদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। আগত দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেন, মাধবকুন্ডের বিভিন্ন পয়েন্টে নানা অজুহাতে চাঁদাবাজি করা হয়। শুধু তাই নয় টয়লেটে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। এ বিষয়ে কথা বললেই তাদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। এমনকি নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মাধবকু- তথ্যসেবা কেন্দ্রের ফটোগ্রাফাররা পর্যটকদের ছবি তোলার নাম করে অপরিচিতদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে টাকা আদায় করে। এ হার ব্যক্তি ভেদে ৫০০-৩০০০ টাকা পর্য হয়ে থাকে। অপরদিকে গেস্ট হাউসের আশপাশের ছোট-বড় দোকানগুলোতে যে কোনো পণ্য ক্রয় করলে বাহিরের দামের চেয়ে প্রায় দিগুণ হারে টাকা আদায় যেনো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার । অতিরিক্ত টোল আদায়, চাঁদাবাজি ও পর্যটক হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ইজারাদার কামাল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা বলরাম রায় জানান, ইজারা সিডিউল ভঙ্গ করে মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায়, পর্যটকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে ইজারাদারকে তিনি নোটিশ করবেন। প্রয়োজনে ইজারা বাতিলের সুপারিশ করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে চিঠি লিখবেন।