‘সহিংসতা নিরসনে সব দলকে উদ্যোগ নিতে হবে’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অবস্থায় ফের উদ্বেগ জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
পাশাপাশি পেট্রোল বোমা হামলাকে হিংস্র কর্ম উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
৫ জানুয়ারি নিজেদের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশি গবেষক আব্বাস ফায়েজ বলেন, ‘সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে ভয়ানক পেট্রোল বোমা হামলা কোনো যৌক্তিকতা হতে পারে না। এ সব ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ একেবারে খাদের কিনারে রয়েছে এবং সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত সব দলের নেতাদের এ রকম কাজ যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে।’
ফায়েজ বলেন, ‘বিএনপিসহ সব দলের নেতাদের সহিংসতা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এ রকম কাজ যাতে তাদের সমর্থকরা না করে সে ব্যাপারে প্রকাশ্যে আহ্বান জানাতে হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে ঢাকা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর রাজপথে সরকার ও বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ঘে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
৫ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী বিরোধী বিএনপির অবরোধের সময় অনবরত পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। যানবাহনে ও অন্যান্য পরিবহণে এ রকম হামলায় ৫০জনের বেশি লোক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন অন্তত সাতজন । কয়েক শ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। ১৩ শ বাস ও অন্যান্য যানবাহনে হামলা চালানো হয়েছে।
গতরাতে কিশোরগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পৃথক তিনটি হামলায় ২০ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিএনপি সমর্থকদের দায়ী করলেও দলটি অস্বীকার করেছে।
বিবৃতিতে পুলিশি অভিযানে নিহতের ঘটনাগুলোতেও উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি বলেছে, ২০ জনের বেশি মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তবে এগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং জড়িতদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি।