আদালত না চাইলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল

hight courtসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত করে পাস হওয়া সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী বিলটি আদালত না চাইলে বাস্তবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোটেক আনিসুল হক।
বুধবার বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটকের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
১৬তম সংশোধনীর ব্যাপারে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন-এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ আইনের একটা ড্রাফট আমরা করেছি এবং এর কাজ চলছে। তবে ওনারা (সুপ্রিমকোর্ট) রায় দিলে এ সংশোধনী থাকবে না।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দশম সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বিলটি উত্থাপিত হলে উপস্থিত ৩২৭ সংসদ সদস্যের বিভক্তি ভোটে পাস হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তবে এখনো গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।
কিন্তু ১৫ অক্টোবর ষোড়শ সংশোধনী বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হয়। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করে ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নতুন প্রধানবিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
তার সঙ্গে অন্যকোনো বিষয়ে আলাপ হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘সারাদেশের মামলাজট সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মামলাজট কমাতে আরো বিচারপতি প্রয়োজন হলে সরকার নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার বিচারকদের নিয়োগ দেয় না। বিচারক নিয়োগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির হাতে। প্রধানবিচারপতি চাইলে রাষ্ট্রপতি বরাবর এটি প্রস্তাব পাঠাতে পারেন। প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চাইলে নতুন বিচারক নিয়োগ দেবেন।’
এছাড়া সৌজন্য সাক্ষাতে সুপ্রিমকোর্ট প্রঙ্গণে নতুন ভবন নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে বলেও আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদকে দেয়া সংবিধান (ষোড়শ সংশোধনী) বিল ২০১৪ পাসের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট হরতাল এবং পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানায়। আইনজীবীদের একাংশ আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে। দেশের শীর্ষ আইনজীবীরাও এ আইনের বিরোধিতা করে আসছেন।