সিলেট ও সুনামগঞ্জে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা

Sylhet Swaraswati poojaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ঢাক-ঢোল শঙ্খ আর উলুধ্বনির উচ্ছ্বাসে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথির শুভলগ্নে সিলেটে প্রায় দেড়শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিদ্যার্থীদের প্রাণের উৎসব শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা।
সকাল থেকে বিভিন্ন মণ্ডপে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়।
নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় সরস্বতী পূজার আয়োজন থাকলেও দাড়িয়াপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় মণ্ডপের সংখ্যা অনেক বেশি। মণ্ডপ বেশি হওয়ায় পুজার দর্শনার্থীর সমাগমও এই এলাকায় তুলনামুলক বেশি।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতির পর আগামীকাল বর্ণাঢ্যভাবে প্রতিমা শোভাযাত্রার মাধ্যমে পূজার শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এদিকে সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জ জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় এ বছর প্রায় ৫৬৫ টি পূজান্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার ভোর থেকে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম তিথিতে বিদ্যা লাভের পাশাপাশি এবং সমাজ থেকে অনাচার অত্যাচার অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন বয়সের নারী পূরুষ সহ শিক্ষার্থী ভক্তবৃন্দরা উপোস থেকে মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করেন। তারা দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা নিয়ে মায়ের চরণে প্রার্থনা করেন। পূজা ও অর্চণা শেষে ভক্তবৃন্দের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় বিভিন্ন পূজান্ডপে হিন্দু কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সরস্বতী পূজাঁ কমিটির সভাপতি নেপাল চন্দ্র দাস,সাধারন সম্পাদক রানা রঞ্জন আচার্য্য,দীপ নারায়ন দাস, টাইলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকেশ চন্দ্র দাস, সরস্বতী পূজা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও মল্লি¬কপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু কানন বন্ধু রায়,অজিত কুমার দাস ,হিরণ আচার্য্য, হিমাংশু আচার্য্য,নমিতা সরকার, অজিত কুমার চক্রবর্তী ,নিলু তালুকদার, নমিতা রানী চৌধুরী, পাথরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজেশ চন্দ্র দাস ও বিভা মরাল প্রমুখ। পূজা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক কানন বন্ধু রায় বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সুনামগঞ্জ একটি ব্যতিক্রমধর্মী শান্তি ও সম্প্রীতির শহর। এ জেলায় হিন্দু,মুসলিম সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে যার যার ধর্মকর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। আমরা একে অন্যের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই শহরে এ ধারা অব্যাহত রাখতে সুনামগঞ্জের প্রতিটি মানুষ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানান তিনি।