বালাগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র অপহরন অপহরক আটক : ছাত্র উদ্ধার

opohoronবালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মঙ্গল বার রাতে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরক কামরানকে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এলাবাসী। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় বোয়ালজুড় বাজার মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই ওয়াজ মাহফিলে আসে অগ্রনী ব্যাংক বালাগঞ্জ শাখার কর্মচারী উপজেলার নবীনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ ময়নার মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলে রাহাতুল ইসলাম হৃদয় (১৩)। রাত প্রায় ন’টার দিকে প্রশ্রাব করার জন্য হৃদয় ওয়াজের প্যান্ডেল থেকে বাহিরে বের হয়। এ সময় তাকে একা পেয়ে জোর পুর্বক ধরে নিয়ে অপহরন করে উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মৃত কাপ্তানের ছেলে কামরান ও তার সহযোগীরা। হৃদয় প্যান্ডেলের বাইরে বের হওয়ার পর তাকে না পেয়ে হৃদয়ের সাথে ওয়াজ মাহফিলে আসা উপজেলার গৌরীনাথপুর গ্রামের ছুরাব আলীর ছেলে সাইফুল হৃদয়ের সন্ধান করতে থাকে। এসময় সাইফুল হৃদয়ের মোবাইলে ফোন দেয় এবং হৃদয়ের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায় সাইফুল। তাৎনিক ওয়াজের প্যান্ডেলে এসে উপস্থিত লোকজনকে ঘটনাটি জানায় সাইফুল। হৃদয়ের সন্ধান চেয়ে ওয়াজের মাইকে ঘোষনাও দেয়া হয় এবং স্থানীয় লোকজন আশপাশ এলাকায় হৃদয়ের সন্ধান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত প্রায় পৌনে বারটার দিকে ওয়াজ মাহফিলের প্যান্ডেল থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দুরবর্তী এবং বোয়ালজুড় বাজারের সন্নিকটে কাজীপুর গ্রামের একটি মৎস্য ফিশারীর ঘর থেকে অপহরনকারী কামরানের জিম্মায় থাকা হৃদয়কে উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। এ সময় কামরানকে ধরে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় জনতা। এদিকে হৃদয়কে অপহরন করার প্রতিবাদে উপস্থিত জনতা অপহরনকারী কামরানের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগ করে। খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। অপহরন হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র হৃদয় বলেন, অপহরনকারী কামরান ও তার সহযোগীরা আমাকে জোর করে ধরে একটি মৎস্য ফিশারির ঘরে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। এ সময় আমার মোবাইল ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয় এবং মেবোইল ফোন বন্ধ করে রাখে। তখন কামরান আমাকে বলে তুকে ছাড়িয়ে নিতে হলে তর বাবা আমাকে দুই ল টাকা দিতে হবে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোয়ালজুড় বাজারের দোকান কর্মচারী সিতু খুনের আসামী কামরানসহ তার আরও দুই ভাই বর্তমানে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে। বালাগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, অপহৃত হৃদয়ের পিতা বাদী হয়ে অপহরক কামরান ও তার এক সহযোগীকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দিয়েছেন। পুলিশের হাতে ধৃত কামরান বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে আগামী কাল (আজ) তাকে আদালতে চালান দেয়া হবে।