কয়েস লোদীর ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদপ্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা!

Koyes Ludiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বরখাস্ত করে প্যানেল মেয়র-১ এর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে প্রজ্ঞাপন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের হাতে এসে পৌঁছেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফুল হক চৌধুরীকে গত ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালত জেলে প্রেরণ করেন। এর ৮ দিন পর তাকে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ এর ধারা ১২ এর ১ উপধারায় বলা হয়েছে- কোন সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র গৃহিত হলে সরকার নির্বাচন কমিশনের সাথে পরামর্শক্রমে লিখিত আদেশের মাধ্যমে ওই মেয়র বা কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে। এই আইনেই আরিফকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান তিন প্যানেল মেয়র হলেন যথাক্রমে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এডভোকেট সালেহ আহমদ ও এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ। এই তিন জনই বিএনপিপন্থী। জেলে যাবার আগে গত ২৯ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেন।
প্যানেল মেয়র-১ কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাংচুর মামলায় চার্জশিট হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা এবং একটি বিস্ফোরক আইনে আরো দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ।
তিনি বলেন, কয়েস লোদীকে দায়িত্ব না দিতে তারা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, চার্জসীতভুক্ত আসামী হিসেবে আরিফুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে, কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে, কয়েস লোদী বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক কর্মী। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে। তবে, ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুযায়ি প্রথম প্যানেল মেয়র হিসেবে তাঁর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার কথা এবং মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে প্রথম প্যাণেল মেয়রকে অনতিবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির সিনিয়র এ এসপি মেহেরুন্নেছা পারুল। গত ২১ ডিসেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন এবং আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর আরিফ আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।