তারেক রহমানের লন্ডন ভাষণ : একজন রাষ্ট্রনায়কের গণবিপ্লবের ডাক

mahabub-amardeshএম মাহাবুবুর রহমানঃ স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার করছে বাংলাদেশ। অভ্যুদয় থেকে শুরু করে এশিয়ার এই দেশটির বেড়ে ওঠার গতিপথ অন্য দেশের তুলনায় অনেকটা ভিন্ন। গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা থেকে জন্ম নেয়া বাংলাদেশে বারবার হোচট খাচ্ছে গণতন্ত্র। বক্তৃতা-বিবৃতিতে এই ‘গণতন্ত্র’ সব রাজনৈতিক দলেরই পুঁজি। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ দলই প্রকৃত গণতন্ত্রকে ধারণ করে না। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো- গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী যে রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা প্রাপ্তির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট রচিত হয়, সেই আওয়ামী লীগের হাতেই স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী ‘গণতন্ত্র হত্যার শিকার’ হয়। কয়েক ধাপে হোচট খেয়ে গণতন্ত্র সামনে এগুনোর সুযোগ পেলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ওই আওয়ামী লীগের হাতেই ফের গণতন্ত্রের সমাধি রচিত হয়। তাই বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চলছে।

গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অর্জন, রক্ষা এবং পুনরুদ্ধারের বন্ধুর পথ বেয়েই হোচট খেয়ে খেয়ে সময় পার করছে বাংলাদেশ। আর এতে সময়ের সাহসী কন্ঠস্বর হয়ে একেক সময় একেক নেতা ‘জাতির নির্ভরতার প্রতীক’ হয়ে সামনে আসছেন।
আমাদের সবার জানা, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজপথ উত্তপ্ত করেছিলেন সেই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি অবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য পাকিস্তান সরকারকে যে চার দফা দাবিনামা পেশ করেন এবং আন্দোলনের ডাক দেন – তা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেদিন শেখ মুজিবের ভাষণের তেজদ্দীপ্ততা বারুদের মতো দেশময় ছড়িয়ে পড়ে। গণআন্দোলনে নামে মানুষ। যদিও আলোচনার টেবিলে ক্ষমতা-প্রাপ্তির আপস-রফার চেষ্টায় শেখ মুজিব লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হন।
এরপর ২৫ মার্চ রাতে সেনা বাহিনীর একজন মেজর জিয়াউর রহমানের ‘উই রিভোল্ট’ এবং সহকর্মীদের নিয়ে বিদ্রোহের ঘটনা পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙ্গে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র’ গঠনের গোড়াপত্তন ঘটায়। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের “আমি মেজর জিয়া বলছি.. .. .. .. ” স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সৈনিক-জনতার নয় মাসের গণলড়াই একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশ-এর। মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
একইভাবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেনা প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের মুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এক গভীর সংকটের হাত থেকে রক্ষা পায়। সেদিন মুক্ত হয়ে জিয়াউর রহমানের সেই ভাষণ, “আমি জিয়াউর রহমান বলছি … .. .. .. ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নতুনভাবে জাগ্রত করে। তাই এ দিনটি বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ইতিহাসে মূল্যায়িত।
এরপর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু তাঁর শাহাদতের পর জোর করে ক্ষমতায় আসেন এইচ এম এরশাদ। স্বৈরাচারি শাসক এরশাদের সঙ্গে গাঁট বেধে গণতন্ত্র হত্যার সহযোগী হন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তখন রাজপথে আপসহীন দেশনেত্রীর ভূমিকা রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি একাধিক ভাষণে জানিয়ে দেন, ‘জালিম শাহী এরশাদের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।’ এই ঐতিহাসিক ঘোষণার প্রতিফলন ঘটে ১৯৯০ সালে। এ বছরের ৪ ডিসেম্বর আত্মগোপন থেকে বের হয়ে সর্বশেষ আল্টিমেটাম দেন বেগম খালেদা জিয়া এবং ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারি এরশাদ বিদায় নিতে বাধ্য হন। বেগম খালেদা জিয়ার এই আপসহীন অবস্থান ও ৪ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক ভাষণ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
এরপর গণতন্ত্র কখনো খুড়িয়ে আবার কখনো সোজা হয়ে দাড়ানোর চেষ্টা করে। ২০০৭ সালে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত জরুরী সরকার এসে ফের গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে। তাদের দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফের আপসহীন অবস্থানের কথা জানান খালেদা জিয়া। তাকে বিদেশে পাঠিয়ে ওই সরকার ক্ষমতা স্থায়ী করতে চাইলে খালেদা জিয়া একটি বিবৃতি দেন এবং বলেন, ‘এদেশেই জন্ম আমার, এদেশেই মরতে চাই। বিদেশে আমার কোনো ঠিকানা নেই। এ অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।’ বাস্তবেও সেই সরকার বেশীদিন টিকতে পারেনি। বিদায় নিতে হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার ওই ঘোষণা বাংলাদেশের রাজনীতির ‘সেভগার্ড’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ফের বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগ। সেই প্রহসনের ক্ষমতা দখলের এক বছর পূর্তির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করেছে অবৈধ সরকার।
আর ঠিক সেই মুহূর্তে জনগণের মুক্তির আহ্বান নিয়ে সামনে এলেন স্বাধীনতার ঘোষকের উত্তরাধিকার তারেক রহমান। বাবা জিয়াউর রহমান ও মা বেগম খালেদা জিয়ার পথ ধরেই তিনি দেশকে দখলদার মুক্ত করার লড়াইয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ৪ জানুয়ারি রাতে ইস্ট লন্ডনের অট্রিয়াম অডিটোরিয়ামে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। জাতির সামনে একটি গণলড়াইয়ের রোডম্যাপ আঁকেন। এই ভাষণে তারেক রহমান একটি গণবিপ্লবের ডাক দেন। দেশকে শত্রুমুক্ত করার এই আহ্বানে ছিল না কোনো প্রতিহিংসা। তিনি রাষ্ট্রনায়কোচিত ভাবে বিপ্লব সংঘটনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, নব্য বাকশালের হাত থেকে দেশ রক্ষায় তারেক রহমানের এই আহ্বানের সাথে ‘রাষ্ট্রনায়কোচিত’ শব্দ যোগ করার প্রাসঙ্গিকতা কি? এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে একজন ‘রাজনৈতিক নেতা’ ও ‘রাষ্ট্রনায়ক’-এর ফারাকটা আপনাদের জানাতে চাই। মূলতঃ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কেবল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রাপ্তি ও নির্দিষ্ট মেয়াদে তা পরিচালনার বিষয়টি জড়িত। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রনায়কের ক্ষেত্রে ক্ষমতা জড়িত থাকলেও ভিশন ও কর্মে তার কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে না। তাঁর কর্মে কেবল কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নয়, রাষ্ট্রের সকল জনগণ এমনকি ভবিষ্যত প্রজন্মেরও কল্যাণ নিশ্চিতের চেষ্টা করেন। রাষ্ট্রদার্শনিকরা ‘রাষ্ট্রনায়ক’-এর সংজ্ঞায় এমন তথ্যই দিয়েছেন।
* আমেরিকান লেখক James Freeman Clarke এ বিষয়ে বলেন, “A politician thinks about the next elections — the statesman thinks about the next generations. (একজন রাজনীতিক পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন, আর একজন রাষ্ট্রনায়ক ভবিষ্যত প্রজš§ নিয়ে চিন্তা করেন)।
* সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক প্রেসিডেন্ট Mikhail Gorbachev বলেন, A statesman does what he believes is best for his country, a politician does what best gets him re-elected. (দেশের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট বলে যা বিশ্বাস করেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক তা-ই করেন; আর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য যা সর্বোত্তম মনে হয় একজন রাজনীতিক তা-ই করেন)।
* আমেরিকান রাজনৈতিক বিশ্লে¬ষক Henry Kissinger বলেন, The statesman’s duty is to bridge the gap between experience and vision. (রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব হলো অভিজ্ঞতা ও ভিশনের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করা)।
* Henry Kissinger আরো বলেন, The task of statesmen is to resolve complexity, not to contemplate it. (রাষ্ট্রনায়কের কাজ হলো জটিলতার সমাধান করা, জটিলতা দ্বারা প্রভাবিত হওয়া নয়)।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন ভাষণে জেমস ফ্রিম্যান ক্লার্ক, মিখাইল গর্ভাচেভ এবং হেনরি কিসিঞ্জারের দেয়া রাষ্ট্রনায়কের গুনাবলী বিদ্যমান রয়েছে বলেই আমার বিবেচনায় ধরা পড়েছে। পাঠক, বিষয়টি স্পষ্ট করতে আপনাদের জন্য তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ আমি উদ্ধৃত করছি।
ওই ভাষণে তারেক রহমান স্পষ্ট ঘোষণা দেন, “শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের গন্তব্য হাসিনার বিদায় ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন। প্রতিটি এলাকায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন। যেন গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তি ঘর থেকে বের হতে না পারে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ঢাকাকে যেমন সারা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল, এবার ঢাকার ভেতরেও এক এলাকা অন্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিন। যাতে করে একটি বিশেষ অঞ্চলের কোনো বাহিনী গিয়ে আন্দোলনকারী জনগণের ওপর নির্যাতন চালাতে না পারে। একইভাবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও নিজ নিজ এলাকা বিচ্ছিন্ন করে দিন। আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবেন না। তিনি বলেন, এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। আর থামিয়ে দেয়া যাবে না। এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। গতিশীল করতে হবে। লক্ষ্য একটি। গন্তব্যস্থল একটি। শেখ হাসিনা যেদিন বিদায় নেবেন, আন্দোলনকারীরা সেদিন ঘরে ফিরবেন।”
আন্দোলন সফলে সর্বাত্মক চেষ্টার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তারেক রহমান জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্র নায়কোচিত স্টাইলে তারেক রহমান তরুনদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি তোমাদের এই নিশ্চয়তা দিতে পারি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ‘বেটার বাংলাদেশ’ হবে। সেই বাংলাদেশে কালো বিড়াল সাদা করা হবে না। অন্যায়কে অন্যায়, ন্যায়কে ন্যায় বলা হবে। গণতন্ত্রের কথা বলে অন্য দলের ওপর জেল-জুলুম করা হবে না। স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে ক্রেস্টের স্বর্ণ চুরি করা হবে না। অন্যায়ের সমালোচনা করলে গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হবে না। ফেসবুকে সমালোচনার জন্য জেল-জুলুম হবে না।’
ভিশনারি নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের জন্য এই সময়ের ‘দু:সাহসী জিয়াউর রহমান’। তিনি ‘বাংলাদেশের ফিদেল ক্যাস্ত্রো’। ৪ জানুয়ারি লন্ডন ভাষণ তাকে একজন ‘জাতীয়তাবাদী গণবিপ্লবের নেতা’য় পরিণত করেছে। তারেক রহমানের এই ভাষণ তাঁর জীবনের ‘সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা’। বাংলাদেশের মানুষের ‘মুক্তির বার্তা’। যখন গণতন্ত্রের নেত্রী অবরুদ্ধ, তখন মুক্তিকামী মানুষের প্রিয় নেতা হিসেবে দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, তারেক রহমান ‘নবযুগের মুক্তির দূত’। তাঁর ভাষণে ছিল বাংলার নিপিড়িত মানুষের মুক্তির আওয়াজ। ক্ষমতা প্রাপ্তি বা দলীয় এজেন্ডা নয়, তারেক রহমানের লন্ডন ভাষণ মানুষকে উদ্দীপ্ত করার এক ‘অভিনব পংক্তিমালা’। রাজপথে বিপ্লবের ডাক দিয়ে স্বপ্নচারী নেতা তারেক রহমান এ সময়ের সঠিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পাঞ্জেরীর ভূমিকায় আবির্ভুত হয়েছেন। তাঁর দ্বারা এমন বিপ্লবের ডাক দেয়াই সম্ভব। কেননা তিনি দেখেছেন জাতির মহা দুর্দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতা মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও দু:সহ সংকটে ৭ নভেম্বরের একটি সফল সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং প্রিয় মাতা রাজপথ কাঁপানো জননন্দিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নব্বইয়ের সফল গণঅভ্যুত্থান।
তাই তারেক রহমানের এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জেগে উঠুক বাংলাদেশ। গণবিপ্লবে মুক্ত হোক জাতি। মুক্তি পাক গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিদায় নেক ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা শেখ হাসিনা। ভোটাধিকার ফিরে পাক বাংলার সব নাগরিক। রক্ষা পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। আজ আমরা যে পলাশীর আ¤্রকাননে অবস্থান করছি, সেখানে যে স্বাধীনতার অস্তগামী সূর্য, সেটি ফিরে পাক নতুন জীবন। আর এই সফলতা পেতে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে তারেক রহমানকে। এজন্য আউট ডোরের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ভাষণের চেয়েও জোরালো হতে হবে ইনডোরের প্রচেষ্টা। তাঁর মঙ্গল কামনা করি। জয় হোক বাংলাদেশের আপামর জনতার। জয়ী হোক মানবতা। মুক্ত বাতাসের প্রতীক্ষায়.. .. .. ..।

লেখক: গবেষক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক।