৫ জানুয়ারি শুধু আ.লীগই মাঠে থাকবে

nasim at sylhetসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কাউকে মাঠে থাকতে দেয়া যাবে না।’
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস’ হিসেবে পালন করবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিনটিকে পালন করবে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে।
শুক্রবার রাতে সিলেটের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নাসিম আরো বলেন, ‘যারা লাঠির বাড়ি খেয়ে প্যান্ট খুলে দৌড়ে পালায়, তাদের দিয়ে আন্দোলন হবে না। কারণ, এ আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। তাই আগামী ৫ জানুয়ারি জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগই কেবল মাঠে থাকবে। অন্য কেউ নয়।’
ওই দিন যারা ঘরে থাকবে তারা আওয়ামী লীগের কেউ থাকবে বলেও মন্তব্য করেন এই মন্ত্রী।
‘২০১৯ সালের একদিন আগেও এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না’ দাবি করে বিএনপির উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘আপনারা ট্রেন মিস করেছেন। সিলেট থেকে যে ট্রেন ছেড়ে যায়, তা আর ফিরে আসে না।’
‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে মার্শাল ল’ জারি হতো। ৫ তারিখ নির্বাচন হয়েছিল বলে, দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। খালেদা জিয়া আজ সভা-সমাবেশ করতে পারছেন।’
একইসঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, ‘উনসত্তর সালে বঙ্গবন্ধু মার্শাল ল’ ডিঙিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলেন বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগ কোনো পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। কারণ, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে একটি দল সু-সংগঠিত হয়। একটি দল গড়ে ওঠে। বিএনপি তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
নাসিম বলেন, ‘সরকার, সরকার প্রধান, মন্ত্রী-এমপিকে নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে। কারণ, ভুল ক্রুটির ঊর্ধ্বে কেউ নয়। কিন্তু কোথায় আছে, জাতির জনককে নিয়ে সমালোচনা হয়।’
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘চরম বেয়াদব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে বসে জাতির জনককে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। আর তা বেগম জিয়া দেশে বসে সমর্থন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা কঠাক্ষ করে তাদের সঙ্গে কোনো আপোস নেই।’
‘দেশের মানুষ এখন আর সংলাপ চায় না। তারা আজ শান্তিতে আছে।’
বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের নানা দিক তুলে ধরে নাসিম বলেন, ‘এদেশ পাকিস্তানের মতো হতে পারতো। সেখানে স্কুলে ঢুকে শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। সিলেটেও এমন হতে পারতো। শাহজালালের মাজারে বৃটিশ হাইকমিশনারের উপর বোমা হামলা হয়েছে। কামরানসহ সাবেক মহিলা এমপির উপর হামলা হয়েছে। অত্যন্ত স্বজ্জন ব্যক্তি কিবরিয়ার মতো মানুষকে হত্যা করে হবিগঞ্জের মাটিকে লাল করা হয়েছে। বাংলাভাই-শায়খ রহমানদের উত্থান হয়েছে। এদেশে মানুষ আর জঙ্গিবাদ চায় না।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এসপি শফিকুর রহমানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সাবেক মহিলা এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার উপস্থিত ছিলেন।