সুরমা টাইমস ডেস্কঃ পর্যটন নগরী ও চায়ের রাজধানী খ্যাত সিলেট ও মৌলভীবাজারে জেঁকে বসেছে শীত। বৃষ্টি-পাতের শহর ও দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের ফলে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাঝে মধ্যে সূর্য্যরে দেখা মিললেও বিকেল থেকেই প্রচুর ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার পরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে বাহিরে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় এবং হাওর পারের লোকসহ দিনমজুর ও ছিন্নমূল লোকেরা পড়েছে ভীষণ বেকায়দায়। এখন পর্যন্ত এসব শীতার্ত মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র কিংবা শীত নিবারনের কোন উপাদান বিতরন করতে দেখা যায়নি কোথাও। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় চা শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগানগুলোতে এমনিতেই শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। হাড় কাঁপানো শীত ও হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারনে শ্রীমঙ্গলসহ পুরো জেলার জনজীবনে চলে এসেছে চরম স্থবিরতা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। শ্রমজীবি অনেকেই খড় খোটা জালিয়ে রাস্তার পাশে শীত নিবারনের চেষ্টা করেছেন। এদিকে তীব্র শীতের কারনে বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের মাঝে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডা জনিত রোগ।
সিলেট বিভাগের অন্যতম বানিজ্যিক শহর শ্রীমঙ্গলের পুরাতন (বিদেশি) কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভির লক্ষ করা গেছে। ফলে জমজমাট হয়ে উঠছে এসব পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা। দোকানিরা জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলাসহ মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব কাপড় কিনতে ক্রেতারা প্রতিদিনই এখানে আসছেন। এছাড়াও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার পাইকারী ব্যবসায়ীরা পোষ্ট অফিস রোডের এম সাইফুর রহমান মার্কেটে আসছেন পুরাতন কাপড়ের ঘাট্টি কিনে নিতে। শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারবার মো. হারুনুর রশীদ জানান, বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া রেকর্ড করা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।