কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটের শুনানি আজ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিআইডি’র চার্জশটির উপর আজ বুধবার শুনানী হবে। হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। সিআইডির সিনিয়র এএসপি মেহেরুননেছা পারুল দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে অন্তর্ভূক্ত করে গত ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। উক্ত চাজশীটে চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, জেএমবি নেতা মুফতি হান্নান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভা মেয়র জি কে গউছ এর নাম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। চার্জশীট ভূক্ত আসামীদের মধ্যে ১১জন পলাতক। এরা হচ্ছে, মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোঃ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, হারিছ চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া,গোলাম কিবরিয়া গউছ ও আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়া নাম ঠিকানা সঠিক না পাওয়ায় ইউছুফ বিন শরীফ ও আবুবক্কর এবং মৃত্যু বরণ করায় আসামী আহসান উল্লাহ কাজল কে অব্যাহতি দেয়ার প্রার্থনা করা হয়েছে ।
চার্জশীটে ১৭১জনকে সাক্ষী মান্য ও ৫৮টি আলামত জব্দ দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল বলেন, সাম্প্রতিক কালে দাখিলকৃত চার্জশীটের উপর কোন নারাজি দেয়া হবে না। কিবরিয়া পরিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চার্জশীট গ্রহনের শুনানীতে অংশ নেয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন বিচার প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভা শেষে ফেরার সময় দুস্কৃতিকারিদের নিক্ষিপ্ত গ্রেনেডে নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ ৪৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
প্রথম তদন্তকারি কর্মকর্তা সি আই ডির সিনিয়র এ এস পি মুন্সি আতিকুর রহমান তদন্ত শেষে ঘটনার ৩ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ১৯ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষনা পরিষদের তৎকালিন সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চার্জশিট প্রদান করেন। কিন্তু কিবরিয়ার পরিবার তা প্রত্যাখান করলে মামলার বাদি আব্দুল মজিদ খান অধিকতর তদন্ত দাবি করে আদালতে আবেদন করেন। নিম্ন আদালতে এই আবেদন নাকচ হয়। পরে হাইকোর্ট মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন ।
পরবর্তীতে সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি রফিকুল ইসলাম তদন্তভার গ্রহন করেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত ২০১১ সালের ২০ জুন ১৪ জন নতুন আসামীসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে অধিকতর তদন্তের চার্জশীট দাখিল করেন।