আজ অরাজক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ : মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শুনানি

US Department of Stateসুরমা টাইমস ডেস্কঃ অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য সমর্থন দিতে পারে তা তদন্ত করে দেখবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটি। এসব কথা বলেছেন এশিয়া ও প্যাসিফিকবিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ম্যাট স্যামন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশবিষয়ক শুনানি হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। স্যামন বলেছেন, ওই শুনানির মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালভাবে উপলব্ধি এবং তা তদন্ত করবেন। তারপর দেখবেন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য সমর্থন দিতে পারে। আজকের ওই শুনানির শিরোনাম ‘বাংলাদেশ’স ফ্র্যাকচার: পলিটিক্যাল অ্যান্ড রিলিজিয়াস এক্সট্রিমিজম’। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এশিয়া ও প্যাসিফিকবিষয়ক সাব-কমিটি ‘রেইবার্ন হাউস অফিস বিল্ডিং ওয়াশিংটন, ডিসি’তে এ শুনানির আয়োজন করেছে। এতে উপস্থিত থাকার কথা এশিয়ান স্ট্যাডিজ সেন্টারের সিনিয়র গবেষক, দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের লিজা কার্টিস, ইলিনয়েস স্টেট ইউনিভার্সিটির পালিটিক্যাল অ্যান্ড গভর্নমেন্ট বিভাগের চেয়ার অধ্যাপক আলি রিয়াজ এবং হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের গভর্নমেন্ট রিলেশন্সবিষয়ক পরিচালক জেই ক্যানাসারা। শুনানির বিষয়ে সাব-কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চেয়ারম্যান ম্যাট স্যামনের বিবৃতিটি এখানে তুলে ধরা হলো: ‘বাংলাদেশ অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যদিও রাজনৈতিক গতিধারায় দেশটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভক্ত, অতি সম্প্রতি ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে সহিংস বিক্ষোভসহ উভয় রাজনৈতিক দলের বহু নিরপরাধ মানুষের অনর্থক মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এটা যদি যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় না হয়, প্রতিবেদনে বারংবার দেশটিতে ইসলামপন্থি মৌলবাদীদের সহিংসতার খবরও পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় সীমানার বাইরে যখন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো জঙ্গি নিয়োগ বৃদ্ধি করেছে এবং যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক চায়, ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটির ঘটনাবলীর ব্যাপারে পূর্ণ উপলব্ধি প্রয়োজন। এই শুনানির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করবো এবং তদন্ত করে দেখবো যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য সমর্থন দিতে পারে, যা হবে স্থিতিশীল ও ইসলামী মৌলবাদের প্রতি অসহনশীল।’