জয় বাংলার ধারা থেকে বাঙালিকে আর ফেরানো যাবে না

শাল্লা উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সুরঞ্জিত

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ যারা বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল সেই আমেরিকা সারা মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণলায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ উপদেষ্ঠা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নিজের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের শাল্লা কোর্ট পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মাসেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করে ছিলাম। এ মাসেই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে জয় বাংলা বিজয়ী হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে আমরা ফিরে পেয়েছিলাম। জয় বাংলার এ ধারা থেকে আর বাঙ্গালী ফিরে যাবে না। তিনি বলেন, ১৫ আগষ্টের পর জিয়াউর রহমান বাঙ্গালীর ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতা বিরোধীদের পূনরুজ্জীবিত করেছিল। awamileague pic(suronjit) 2-12-14বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশকে আগের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুহিম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক অলিউল হকের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাংসদ মহিবুর রহমান মানিক, সাংসদ সামসুন নাহার বেগম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র আজিজুর রহমান, শাল্লা উপজেলা পরিষদেও সাবেক চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ। পরে কাউন্সিল অধিবেশনে অবনী মোহন দাসকে সভাপতি ও আল-আমিন চৌধুরীকে সাধারন সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনকল্যাণে কাজ করে। খালেদা জিয়ার দল ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ লুন্ঠিত হয়, ধ্বংসলীলার সৃষ্টি হয়। যে কোনে দেশের উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন উল্লে¬খ করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ক্ষেত্রে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ নির্বাচন না হলে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতো, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বাধাগ্রস্ত হতো। কিন্তু খালেদা জিয়ার দল তো উন্নয়নে বিশ্বাসী নয়Ñ তারা চায় ধ্বংসলীলা। তাই তারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাটসহ মানুষ হত্যা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের দিন শেষ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার জনগণকে দেয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে এখন ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কাজ চলছে। নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বেগম খালেদা জিয়া উন্নয়ন চান না, তাই বিভিন্নভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যখন বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাই তারা একে পর এক ষড়যন্ত্র করছে। আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন নেই। কারণ দেশের জনগণ জানে বিএনপির আন্দোলন মানে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার আন্দোলন। তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, তাই তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হলে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে।