রায় ফাঁস: আত্মসমর্পণের পর সাকার স্ত্রী ছেলের জামিন

farhat kader chowdhuryসুরমা টাইমস ডেস্কঃ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ‘রায় ফাঁসের’ মামলায় তার স্ত্রী ও ছেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম কোয়েল।
শুনানি শেষে সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম শামসুল আলম ১ লাখ টাকা করে মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে এ আদালতের পেশকার শামীম আহমেদ জানান।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাজাহান হোসেন গত ২৮ অগাস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন।
ফারহাত ও হুম্মাম ছাড়া বাকি পাঁচ আসামি হলেন – সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান, সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেন।
আদালত গত ১২ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ফারহাত, হুম্মাম ও মেহেদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ প্রতিপালনের বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন দেওয়ার ধার্য দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
মামলার আসামি নয়ন ও ফারুক ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতবছর ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তবে রায়ের আগেই বিএনপি নেতার স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের সামনে ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত ‘রায়ের কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।
এরপর তুমুল আলোচনার মধ্যে ট্রাইব্যুনাল স্বীকার করে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৭ ও ৬৩ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় ৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন ও সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর সেগুন বাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর এক সহকারী বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ট্রাইবুনালের দুই কর্মীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের খসড়ার অংশবিশেষ বের করেন। ওই অংশটিই রায়ের দিন আদালতে সাংবাদিকদের দেখানো হয়।