প্যানেল মেয়র লোদীর পক্ষেই বহাল থাকলো আদালতের রায়

Arif-and-Koyes-Ludiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের পদ নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর করা রিট পিটিশনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার চেম্বার জজ আদালতের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি-তর্ক শুনে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দেন। পাশাপাশি আগামী ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মুল সিভিল পিটিশনের শুনানীর তারিখ ধার্য্য করেন। ফলে প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন নিয়ে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পক্ষে উচ্চ আদালতের দেয়া আদেশই বহাল থাকল।

এর আগে গত রবিবার এই রিট পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন কয়েস লোদীর আইনজীবি সময় চাওয়ায় সোমবার শুনানির দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু সোমবারও কয়েস লোদীর আইনজীবি ব্যারিষ্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে সময় চান এডভোকেট আব্দুল মতিন। পরে আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য্য করেছিলেন। কিন্তু প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর প্রধান আইনজীবি ব্যারিষ্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ আদালতে সময় চাওয়ায় শুনানি পিছিয়ে দেয়া হয় বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফ। তবে উল্টো দাবি করেন কয়েস লোদী। তিনি জানান- মেয়র আরিফের আইনজীবি আদালতে সময় চাওয়ায় আদালত মঙ্গলবার শুনানি করেননি।
প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পক্ষে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিষ্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এডভোকেট আব্দুল মতিন। অন্যদিকে সিসিক মেয়র আরিফের পক্ষের শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিষ্টার শফিক আহমদ ও আমিন উদ্দিন ও হারুন উদ্দিন মোল্লা।
প্রসঙ্গত, প্যানেল-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব না দিয়ে সম্প্রতি চীন সফরে যান নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর প্রেক্ষিতে কয়েস লোদী উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে প্যানেল মেয়র-১ কয়েস লোদীকে দায়িত্ব পালন করতে দেয়ার নির্দেশ দেন সিসিক কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদ ভরপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।